Chopra West Bengal,‘ভিডিয়ো যে ভাইরাল করেছে তার শাস্তি চাই’, মুখ খুললেন চোপড়ার নির্যাতিতা – chopra victim woman opens up about the incident


‘কেন আমার ভিডিয়ো ভাইরাল করা হল?’ এবার এই প্রশ্ন তুলে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন চোপড়ার নির্যাতিতা। যে বা যারা তাঁর অনুমতি না নিয়ে এই ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন তিনি।সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিয়ো ব্যাপক ভাইরাল হয়। যেখানে দেখা যায় হাতে এক গোছা কঞ্চি নিয়ে এক যুবক-যুবতীকে বেধড়ক মারছে এক যুবক (ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি এই সময় ডিজিটাল)। জানা যায়, ভিডিয়োটি চোপড়ার এবং কঞ্চি হাতে ওই ব্যক্তির নাম তাজিমুল ইসলাম ওরফে ‘জেসিবি’। এই ভিডিয়ো সামনে আসার পর একটি স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে পুলিশ এবং প্রথমে গ্রেফতার করা হয় তাজিমুলকে। পরবর্তীতে এই ঘটনায় মোট চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সেখানে গিয়েছে জাতীয় মহিলা কমিশনের একটি দল। কিন্তু, জেসিবি নয়, যে বা যারা তাঁর ভিডিয়ো ভাইরাল করেছে, তাদের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে নির্যাতিতা। তিনি বলেন, ‘এই ভাইরাল ভিডিয়োতে আমার সম্মান নষ্ট হয়েছে। আমার মান সম্মান নিয়ে খেলা করা হয়েছে। আমি থানায় অভিযোগ জানাচ্ছি। যে বা যারা এই ভিডিয়ো ভাইরাল করেছে তাদের যেন শাস্তি হয়।’

বুধবার একই দাবি শোনা গিয়েছিল চোপড়ার ‘নির্যাতিত’ যুবকের কণ্ঠেও। তিনি বলেছিলেন, ‘তিনি দাবি করেছেন, ‘যা হয়েছে তা ভালোর জন্য হয়েছে। এখন সমস্ত কিছু ঠিকঠাক হয়ে গিয়েছে। আমি বাড়িতেই রয়েছি। আর জীবনে কোনও অশান্তি চাই না।’ পাশাপাশি ওই মহিলাকে বাড়িতে এনে তিনি ভুল করেছেন বলেও দাবি করেছেন। সালিশি সভায় বলা হয়েছিল তাঁদের শাস্তি হিসেবে প্রকাশ্য রাস্তায় মারা হবে এবং তাঁরা তা মেনে নিয়েছিলেন। পাশাপাশি জেসিবির বিরুদ্ধে তাঁর কোনও অভিযোগ নেই বলেই জানান।

Chopra Incident: চোপড়াকাণ্ডে তৃণমূল বিধায়কের থেকে রিপোর্ট তলব দলের

উল্লেখ্য, চোপড়াকাণ্ডের রেশ কাটিয়ে ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরছে চোপড়ার দিগলগাঁও। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যাতে নিয়ন্ত্রণে থাকে সেই জন্য পুলিশ পিকেটও বসেছে। গ্রামের মানুষজনরাও এই নিয়ে কোনও কথা বলতে নারাজ।

গ্রামের এক বাসিন্দা বলেন, ‘আমরা খেটে খাওয়া মানুষ। আমাদের কাজ না করলে সংসার চলবে না। তাই আমরা কাজ করতে চাই। এই সমস্ত বিতর্কে মাথা গলাতে চাই না।’ অন্যদিকে, ওই যুবক- যুবতীর বাড়িতে যেতে নারাজ গ্রামের অন্যান্যরা। তাঁদের দাবি, ‘শুনেছি ওখানে ক্যামেরা বসিয়েছে। এই সমস্ত বিষয়ে থাকতে নারাজ।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *