বৃহস্পতিবার সেখানে গিয়েছে জাতীয় মহিলা কমিশনের একটি দল। কিন্তু, জেসিবি নয়, যে বা যারা তাঁর ভিডিয়ো ভাইরাল করেছে, তাদের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে নির্যাতিতা। তিনি বলেন, ‘এই ভাইরাল ভিডিয়োতে আমার সম্মান নষ্ট হয়েছে। আমার মান সম্মান নিয়ে খেলা করা হয়েছে। আমি থানায় অভিযোগ জানাচ্ছি। যে বা যারা এই ভিডিয়ো ভাইরাল করেছে তাদের যেন শাস্তি হয়।’
বুধবার একই দাবি শোনা গিয়েছিল চোপড়ার ‘নির্যাতিত’ যুবকের কণ্ঠেও। তিনি বলেছিলেন, ‘তিনি দাবি করেছেন, ‘যা হয়েছে তা ভালোর জন্য হয়েছে। এখন সমস্ত কিছু ঠিকঠাক হয়ে গিয়েছে। আমি বাড়িতেই রয়েছি। আর জীবনে কোনও অশান্তি চাই না।’ পাশাপাশি ওই মহিলাকে বাড়িতে এনে তিনি ভুল করেছেন বলেও দাবি করেছেন। সালিশি সভায় বলা হয়েছিল তাঁদের শাস্তি হিসেবে প্রকাশ্য রাস্তায় মারা হবে এবং তাঁরা তা মেনে নিয়েছিলেন। পাশাপাশি জেসিবির বিরুদ্ধে তাঁর কোনও অভিযোগ নেই বলেই জানান।
উল্লেখ্য, চোপড়াকাণ্ডের রেশ কাটিয়ে ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরছে চোপড়ার দিগলগাঁও। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যাতে নিয়ন্ত্রণে থাকে সেই জন্য পুলিশ পিকেটও বসেছে। গ্রামের মানুষজনরাও এই নিয়ে কোনও কথা বলতে নারাজ।
গ্রামের এক বাসিন্দা বলেন, ‘আমরা খেটে খাওয়া মানুষ। আমাদের কাজ না করলে সংসার চলবে না। তাই আমরা কাজ করতে চাই। এই সমস্ত বিতর্কে মাথা গলাতে চাই না।’ অন্যদিকে, ওই যুবক- যুবতীর বাড়িতে যেতে নারাজ গ্রামের অন্যান্যরা। তাঁদের দাবি, ‘শুনেছি ওখানে ক্যামেরা বসিয়েছে। এই সমস্ত বিষয়ে থাকতে নারাজ।’