এই সমস্যা সমাধানে কালিকাপুরের মাতঙ্গিনী হাসপাতালের পরিত্যক্ত জমিতে জলাধার নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়েছিল এক সময়ে। কিন্তু জমি হস্তান্তরের সমস্যা এখনও মেটেনি। তিনি মেয়রের কাছে এই সমস্যা মিটিয়ে দ্রুত জলাধার নির্মাণের আর্জি জানান। তাঁর প্রস্তাবের জবাবে মেয়র বলেছিলেন, ‘ওই জমিতে জলাধার নির্মাণ হবেই। আইনি সমস্যার সমাধান হলেই টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু হবে।’
বাইপাস লাগোয়া ১০৮ নম্বর ওয়ার্ডের আনন্দপুরেও পানীয় জলের সমস্যা রয়েছে বেশ কিছু পাড়ায়। বাসিন্দারা জানান, পুরসভার কলে জলের চাপ এত কম যে পর্যাপ্ত জল পাওয়া যায় না। কলে পাইপ লাগিয়ে মুখ দিয়ে টেনে জল বের করতে হয়। চাপ কম হওয়ায় জলের জন্যে লাইনে দাঁড়িয়েও অনেক বাসিন্দা জল সংগ্রহ করতে পারেন না বলে অভিযোগ।
আনন্দপুরের বাসিন্দা ছন্দারানি মণ্ডল, গীতা গায়েন-সহ অনেকেই জানান, কাজ চালানোর জন্যে ট্যাঁকের কড়ি গচ্চা দিয়ে নিয়মিত জল কিনতে হয় তাঁদের। বাসিন্দাদের এই সমস্যার কথা জানা রয়েছে ১০৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার তথা ১২ নম্বর বরোর চেয়ারপার্সন সুশান্ত ঘোষেরও। তিনি বলেন, ‘বাসিন্দাদের এই সমস্যার কথা পুরসভার উচ্চতর কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। আশা রাখি, দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে।’
তবে ইএম বাইপাস লাগোয়া বিভিন্ন ওয়ার্ডে পানীয় জলের এই সমস্যার সমাধানে বাসিন্দাদের বুস্টার পাম্পিং স্টেশন নির্মাণ এবং তার পরে জলের লাইনের সংযোগ-স্থাপন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে বলেই পুরসভার জল-সরবরাহ বিভাগের একাধিক আধিকারিক জানাচ্ছেন। তাঁদের কথায়, ‘খুব সমস্যা হলে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্যে ওই এলাকায় জলের ট্যাঙ্ক পাঠানোই আপাতত একমাত্র উপায়।’