২০২১-এ গাড়ুই ভেসে আসানসোলে বন্যার স্মৃতি মনে করিয়ে দিয়েছেন রেলপাড়ের কংগ্রেস কাউন্সিলার গোলাম সরোবর। বলেন, ‘প্রতি বছরের বৃষ্টিতে রেলপাড়ে গাড়ুই নদীর জলস্তর বেড়ে গিয়ে নিচু এলাকাগুলো প্লাবিত হয়। যার মধ্যে রয়েছে রামকৃষ্ণডাঙাল, পাঞ্জাবি মহল্লা, তোরি মহল্লা, হাজিনগর, জাহাঙ্গির মহল্লা, বাবুয়াতলা, নয়া মহল্লা, কসাই মহল্লা।’
আসানসোলের বিজেপি কাউন্সিলার চৈতালি তিওয়ারির অভিযোগ, ‘এত বড় পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে অথচ আমাদের মতামত নেওয়া হয় না।’ এলাকার বরো চেয়ারম্যান উৎপল সিনহা জানাচ্ছেন, জাহাঙ্গির মহল্লা, ইকবাল সেতু থেকে এই কাজ শুরু হয়েছে। এর পর রামকৃষ্ণ ডাঙাল, সেখান থেকে ডিপোপাড়া, গোপালনগর হয়ে কালিপাহাড়ি পর্যন্ত নদী সাফাইয়ের কাজ হবে। কিন্তু তাঁর মতে নদী মজে যাওয়ার পিছনে রয়েছে দু’পাশের কারখানা।
বলেন, ‘এখানে প্রায় ৪০০ ছোট-বড় কারখানার ব্যবসায়ীরা তাঁদের বাতিল জিনিসপত্র নদীতে ফেলে দেন। সকালে পরিষ্কার করছি কিন্তু, বিকেলে গিয়ে দেখছি আবার সেখানেই ফেলা হয়েছে। এবার আমরা নোটিস দিয়ে এই কাজ বন্ধের আবেদন করছি। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, ওঁদের একটি করে বড় ব্যাগ দেবো। সেই ব্যাগে আবর্জনা ভরে পুরসভার ঘোষণা মতো একটি নির্দিষ্ট জায়গায় রাখবেন। আমরা সেখান থেকে তুলে নিয়ে যাব।’
মেয়র বিধান উপাধ্যায় জানান, তাঁর নেতৃত্বে পুর কমিশনার, ডেপুটি মেয়র, বরো চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে সম্প্রতি একটি বৈঠক হয়েছিল। সেখানেই নদী সংস্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই মতো কাজ এগোচ্ছে।