Asansol News,বর্ষা আসতেই গাড়ুই সংস্কারের কাজে প্রশ্ন – asansol garui river cleaning is starting


এই সময়, আসানসোল: আরও একটা বর্ষাকাল এবং ফের গাড়ুই নদী নিয়ে বাড়ছে উদ্বেগ। অতিবৃষ্টিতে গাড়ুইয়ের জলস্তর বেড়ে ভেসে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে উত্তর আসানসোলের বড় এলাকা। সেই বিষয়টিকে মাথায় রেখে বর্ষার মুখে শুরু হলো গাড়ুই সংস্কারের কাজ। ইতিমধ্যে মঙ্গল ও বুধবার কয়েক দফার বৃষ্টিতে নদীতে কিছুটা জল বেড়েছে।এই পরিস্থিতিতে বিরোধীরা প্রশ্ন তুলেছেন, এই কাজ বর্ষার আগে কেন শুরু করা হলো না। বর্ষায় সমস্যা তো বাড়বে। বৃহস্পতিবার দেখা গেল উত্তর আসানসোলের জাহাঙ্গির মহল্লা, ইকবাল সেতুর কাছে নদীতে জেসিবি নামিয়ে সংস্কারের কাজ চলছে। হাজিনগর হয়ে সংস্কারের কাজ চলবে একেবারে কালিপাহাড়ি পর্যন্ত। নদী থেকে তোলা বিপুল পরিমাণ বর্জ্য আপাতত পাড়ে জমা করে রাখা হচ্ছে।

২০২১-এ গাড়ুই ভেসে আসানসোলে বন্যার স্মৃতি মনে করিয়ে দিয়েছেন রেলপাড়ের কংগ্রেস কাউন্সিলার গোলাম সরোবর। বলেন, ‘প্রতি বছরের বৃষ্টিতে রেলপাড়ে গাড়ুই নদীর জলস্তর বেড়ে গিয়ে নিচু এলাকাগুলো প্লাবিত হয়। যার মধ্যে রয়েছে রামকৃষ্ণডাঙাল, পাঞ্জাবি মহল্লা, তোরি মহল্লা, হাজিনগর, জাহাঙ্গির মহল্লা, বাবুয়াতলা, নয়া মহল্লা, কসাই মহল্লা।’

আসানসোলের বিজেপি কাউন্সিলার চৈতালি তিওয়ারির অভিযোগ, ‘এত বড় পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে অথচ আমাদের মতামত নেওয়া হয় না।’ এলাকার বরো চেয়ারম্যান উৎপল সিনহা জানাচ্ছেন, জাহাঙ্গির মহল্লা, ইকবাল সেতু থেকে এই কাজ শুরু হয়েছে। এর পর রামকৃষ্ণ ডাঙাল, সেখান থেকে ডিপোপাড়া, গোপালনগর হয়ে কালিপাহাড়ি পর্যন্ত নদী সাফাইয়ের কাজ হবে। কিন্তু তাঁর মতে নদী মজে যাওয়ার পিছনে রয়েছে দু’পাশের কারখানা।

বলেন, ‘এখানে প্রায় ৪০০ ছোট-বড় কারখানার ব্যবসায়ীরা তাঁদের বাতিল জিনিসপত্র নদীতে ফেলে দেন। সকালে পরিষ্কার করছি কিন্তু, বিকেলে গিয়ে দেখছি আবার সেখানেই ফেলা হয়েছে। এবার আমরা নোটিস দিয়ে এই কাজ বন্ধের আবেদন করছি। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, ওঁদের একটি করে বড় ব্যাগ দেবো। সেই ব্যাগে আবর্জনা ভরে পুরসভার ঘোষণা মতো একটি নির্দিষ্ট জায়গায় রাখবেন। আমরা সেখান থেকে তুলে নিয়ে যাব।’

মেয়র বিধান উপাধ্যায় জানান, তাঁর নেতৃত্বে পুর কমিশনার, ডেপুটি মেয়র, বরো চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে সম্প্রতি একটি বৈঠক হয়েছিল। সেখানেই নদী সংস্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই মতো কাজ এগোচ্ছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *