Assembly Elections,তিন রাজ্যে ভোটের মুখে পুরনো নেতৃত্বেই আস্থা? – sukanta majumdar will serve as bjp state president in west bengal as assembly elections


মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা সহ তিন রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন পর্যন্ত জেপি নাড্ডা বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি পদে থাকতে পারেন। ততদিন পশ্চিমবঙ্গেও সুকান্ত মজুমদার সভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন। আগামী অক্টোবর মাসের মধ্যে নির্বাচন কমিশনকে মহারাষ্ট্রের বিধানসভা ভোট সম্পূর্ণ করতে হবে। একই সময়ে হরিয়ানাতে বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা।২০২৫ সালের জানুয়ারিতে ঝাড়খণ্ড বিধানসভার মেয়াদ শেষ হচ্ছে। ফলে নির্বাচন কমিশনকে ডিসেম্বর মাসের মধ্যে ওই রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন পর্বও মিটিয়ে ফেলতে হবে। মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানা বর্তমানে এনডিএ-র দখলে রয়েছে । হেমন্ত সরেনের জেএমএম এবং কংগ্রেসের জোট সরকার রয়েছে ঝাড়খণ্ডে। সদ্য হওয়া লোকসভা নির্বাচনে মহারাষ্ট্রে ইন্ডিয়া ব্লক চমকপ্রদ সাফল্য পেয়েছে।

হরিয়ানা ও ঝাড়খণ্ডেও কড়া টক্কর হয়েছে দুই শিবিরে। এই পরিস্থিতিতে এই তিন রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন এনডিএ এবং ইন্ডিয়া দুই শিবিরের কাছে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা, মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানা যদি এনডিএ-র হাতছাড়া হয় তা হলে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার চাপে পড়ে যাবে, আরও আগ্রাসী হয়ে উঠবে রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে কংগ্রেস।

অন্যদিকে, যদি বিজেপির ফল ভালো হলে বড় ধাক্কা খাবে ইন্ডিয়া ব্লক। তাই তৃতীয় মোদী সরকারে জেপি নাড্ডা স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দায়িত্ব নিলেও এই তিন রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন পর্যন্ত তিনিই দলের সর্বভারতীয় সভাপতির দায়িত্ব পালন করতে পারেন। একই ভাবে সুকান্ত মজুমদার কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পেলেও নাড্ডা-র জায়গায় যতদিন না নতুন কেউ সর্বভারতীয় সভাপতির দায়িত্ব পাচ্ছেন, ততদিন বালুরঘাটের সাংসদকে রাজ্য সভাপতির দায়িত্ব পালন করতে হতে পারে।

বঙ্গ বিজেপির প্রথম সারির এক নেতার কথায়, ‘তিন রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন পর্যন্ত নাড্ডাজি-র সভাপতি পদে থাকার সম্ভবনা প্রবল। কারণ, তিন রাজ্যে ভোটের মাত্র তিন মাস আগে নতুন কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হলে তিনি সব কিছু গুছিয়ে ওঠার সময় পাবেন না।’ বিজেপি-র সাংগঠনিক রীতি অনুযায়ী, নতুন সর্বভারতীয় সভাপতি যিনি হবেন, তিনি যে রাজ্যগুলিতে সভাপতি বদল প্রয়োজন তা নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।

আবাসে বাড়তে পারে বরাদ্দ, ভোটব্যাঙ্কে ফাটল বুজবে কি?

নতুন রাজ্য সভাপতির পাশাপাশি সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) পদেও নতুন কাউকে নিয়োগ করা হয়। এমনকী, বিজেপির ন্যাশনাল কাউন্সিলে প্রয়োজনীয় রদবদল করা হয়। জেপি নাড্ডার জায়গায় কে সর্বভারতীয় সভাপতি হতে পারেন, এই নিয়ে বিজেপি নেতাদের মধ্যে জল্পনা তৈরি হওয়ার পাশাপাশি সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) পদে বিএল সন্তোষ থাকবেন, না কি তাঁর জায়গায় নতুন মুখ আসবেন তা নিয়েও চর্চা চলছে।

এই বিষয়গুলি চূড়ান্ত হলে তবেই বঙ্গ বিজেপির নয়া মুখ কে হবেন, তা ঠিক হবে বলে মনে করছেন গেরুয়া শিবিরের একাংশ। তাঁর কথায়, ‘রাজ্য সভাপতি নিয়ে জল্পনা চলছে। অনেক নাম মিডিয়াতে এসেছে। কিন্তু সর্বভারতীয় স্তরে সাংগঠনিক রদবদল হওয়ার পরেই রাজ্যে নতুন সভাপতি হবে।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *