তার পরেও হকাররা সরকারি জমি দখল করে ব্যবসা করে যাচ্ছিলেন। কারও ফাস্ট ফুডের দোকান, কেউ ভাতের হোটেল চালিয়েছেন। দু’দিন আগে এডিডিএ-র আবেদনে সাড়া দিয়ে হকারদের সরে যাওয়ার কথা জানায় পুলিশ। জানিয়ে দেওয়া হয়, নিজে থেকে সরে না গেলে মেশিন এনে ভেঙে দেওয়া হবে। তার খরচও দিতে হবে হকারদের।
এর পর আর দেরি করেননি হকাররা। তাঁরা বুঝতে পারেন, মেশিন দিয়ে ভাঙা হলে খরচও দিতে হবে সঙ্গে দোকানের কোনও জিনিস আস্ত থাকবে না। ফলে নিজেরাই সরিয়ে নিয়েছেন দোকান। তপন সাউ নামে এক হকার বলেন, ‘রাস্তার ধারে ভাতের হোটেল চালাতাম। এই হোটেলের ওপর পাঁচটা পরিবার নির্ভরশীল ছিল। এখন সবাই বেকার হয়ে গেল। আগে উচ্ছেদের নোটিস দিয়েছিল। দু’দিন আগে পুলিশ এসে সরে যেতে বলল। তাই নিজেরাই দোকানের কাঠামো খুলে সরিয়ে নিচ্ছি।’
সিটি সেন্টার বাস স্ট্যান্ডে যাঁরা অস্থায়ী ছাউনি দিয়ে দোকান করেছিলেন তাঁরাও খুলে নিয়েছেন কাঠামো। তবে হকারদের বক্তব্য, গরিব মানুষদের ব্যবসার উপর আঘাত হানা হলো অথচ সিটি সেন্টারে একাধিক বড় হোটেল ও রেস্তরাঁ রয়েছে যারা নিজস্ব জমির বাইরে সরকারি জমি দখল করে ব্যবসা করছে। তাদের কিন্তু উচ্ছেদের নোটিস দেয়নি এডিডিএ।
এ প্রসঙ্গে এডিডিএ-র চেয়ারম্যান কবি দত্ত বলেন, ‘কাউকে রেয়াত করা হবে না। সরকারি জমি দখল করে থাকলে খালি করতেই হবে। যাঁরা সরে যাননি তাঁদের দোকান ভেঙে দেওয়া হবে।’