Mominpur Esplanade Metro,ডায়াফ্রাম ওয়াল তৈরি শুরু মোমিনপুর-এসপ্ল্যানেডের পার্পল লাইন অংশে – mominpur esplanade purple line metro diaphragm wall construction work started


এই সময়: জার্মানি থেকে আনা হয়েছে একজোড়া টানেল বোরিং মেশিন (টিবিএম)। খিদিরপুর সেন্ট টমাস স্কুলের চৌহদ্দিতে শ্যাফট তৈরির কাজে হাত দিয়েছিল নির্মাণকারী সংস্থা। ওই শ্যাফট দিয়েই ভূগর্ভে নামিয়ে দেওয়ার কথা জোড়া টিবিএম-কে। কলকাতা মেট্রোর পার্পল লাইনের খিদিরপুর থেকে এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত অংশটি থাকছে মাটির নীচে।দুই টিবিএম-এর কাজ হবে খিদিরপুর থেকে এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত অংশে সুড়ঙ্গ তৈরি। শ্যাফটের মধ্যে যাতে মাটি না ধসে পড়ে, তার জন্য ডায়াফ্রাম ওয়াল তৈরির কাজ শুরু করে দেওয়া হলো। কবি সুভাষ থেকে বিমানবন্দর—প্রায় ৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ কলকাতা মেট্রোর অরেঞ্জ লাইনের কাজ এগোচ্ছে দ্রুত গতিতেই। একই সঙ্গে কাজে গতি পেল পার্পল লাইনেও।

জোকা থেকে এসপ্ল্যানেড—১৮ কিলোমিটার দীর্ঘ এই লাইনে আপাতত জোকা থেকে মাঝেরহাট পর্যন্ত মাত্র ৭ কিলোমিটার দীর্ঘ অংশে নামমাত্র একটি পরিষেবা চালু করা হয়েছে। মাঝেরহাট থেকে এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত অংশের কাজ শেষ করে ২০২৮-এ ওই অংশে বাণিজ্যিক ভাবে যাত্রী পরিবহণ শুরু করে দিতে চায় ভারতীয় রেল বোর্ড।

পার্পল লাইনের মধ্যে জোকা থেকে মোমিনপুর পর্যন্ত অংশ এলিভেটেড এবং খিদিরপুর থেকে বাকি অংশ ভূগর্ভস্থ। এলিভেটেড অংশের কাজ প্রায় পুরোটাই শেষ করে ভূগর্ভস্থ অংশের কাজে গতি বাড়ানোর দিকে মন দিয়েছে নির্মাণকারী সংস্থা। তারই অন্যতম পদক্ষেপ সেন্ট টমাস স্কুলের শ্যাফটে ডায়াফ্রাম ওয়াল তৈরির কাজ।

৬৫ মিটার দীর্ঘ এই ওয়াল তৈরির কাজ সেপ্টেম্বর নাগাদ শেষ হয়ে যাবে বলেই মনে করা হচ্ছে। ডায়াফ্রাম ওয়াল তৈরির পাশাপাশি ‘টানেল সেগমেন্ট’ ঢালাই করার কাজও পুরোমাত্রায় চলছে। জানা গিয়েছে, মহেশতলা সরকারপুল অঞ্চলে এই ‘টানেল সেগমেন্ট’ তৈরি হচ্ছে। সেগমেন্টের ছ’টি অংশ জুড়ে একটি ‘রিং’ তৈরি হয়। পর পর এই রিং জুড়েই গড়ে ওঠে সুড়ঙ্গ।

Kolkata Metro : অরেঞ্জ লাইনের কাজে বিশেষ নজর, এগোচ্ছে পার্পল লাইনও

মহেশতলায় যে রিং তৈরি হচ্ছে, সেই এক একটি রিং ১.৪০ মিটার করে চওড়া। এমন ছ’টি রিং জুড়ে যে সুড়ঙ্গ তৈরি হবে, তার ভিতরের অংশের ব্যাস ৫.৮ মিটার। খিদিরপুরে সুড়ঙ্গ তৈরির কাজ শুরু হলে ঢালাই করা সেগমেন্টগুলো সেখানে নিয়ে যাওয়া হবে। সুড়ঙ্গ নির্মাণের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা, রেলওয়ে বিকাশ নিগম লিমিটেডের (আরভিএনএল) ইঞ্জিনিয়াররা জানাচ্ছেন, ২০২৫-এর জানুয়ারিতে খিদিরপুরে দু’টি টিবিএম এসে পড়বে। সুড়ঙ্গ খোঁড়ার কাজ শুরু হবে ২০২৫-এর মার্চ থেকে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *