কী আছে সেই ডায়েরিতে?
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা মনে করছেন, তদন্তের গুরুত্বপূর্ণ সূত্র লুকিয়ে আছে ওই ডায়েরিতেই। দিন দশেক আগে গাড়ি নিয়ে নিউ টাউনের ফ্ল্যাটে এসেছিলেন অমিত। তার সঙ্গে কলকাতা-সহ বাংলার বেশ কিছু নিট কোচিং সেন্টারের যোগাযোগ ছিল বলে একপ্রকার নিশ্চিত সিবিআই। উদ্ধার হওয়া ডায়েরিতে মিলেছে তার সূত্র।
সেখানে রয়েছে অনেকের মোবাইল নম্বর। তদন্তকারীদের সন্দেহ, নিটের প্রশ্ন ফাঁসের অন্যতম মূলচক্রী বিহারের নালন্দার বাসিন্দা পলাতক সঞ্জীব মুখিয়ার পশ্চিমবঙ্গের যোগসূত্র হিসেবে কাজ করেন এই অমিত। তাঁর খোঁজে হন্যে হয়ে তল্লাশি চালাচ্ছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।
নিউ টাউনে অমিতের ফ্ল্যাটে গিয়ে তাঁর খোঁজ না মেলায়, আত্মীয় এবং পরিজনদের সঙ্গে কথা বলছেন তদন্তকারীরা। নিট দুর্নীতিতে গুজরাট, মহারাষ্ট্র, বিহার, নয়ডা ও ঝাড়খণ্ড থেকে যারা গ্রেপ্তার হয়েছেন, তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করেই অমিতের নাম উঠে আসে। হাজারিবাগে স্থানীয় এক সাংবাদিক-সহ তিনজনকে গ্রেপ্তারের পরেও অমিতের কথা জানা যায়।
সিবিআই-এর স্পেশ্যাল ইউনিট সেই সব অভিযুক্তদের জেরা করে, এ রাজ্যের বেসরকারি চাকরির প্রবেশিকা দেওয়ার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলির বিষয়ে বেশ কিছু তথ্য পেয়েছেন। পাশাপাশি অমিত কুমারের ফ্ল্যাটের তালা ভেঙে বেশকিছু নথিপত্র পাওয়া গিয়েছে, যা থেকে নতুন তথ্য মিলতে পারে বলে মনে করছেন তদন্তকারী অফিসারেরা।
এদিকে, নিট-ইউজি পরীক্ষার এই বিতর্কের মধ্যেই নিট-পিজি পরীক্ষার আয়োজক সংস্থা এনবিইএমএস-এর একটি বিজ্ঞপ্তি ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে স্বাস্থ্য মহলে। ওই বিজ্ঞপ্তিতে পরীক্ষার্থীদের সতর্ক করে বলা হয়েছে, টাকার বিনিময়ে নিশ্চিত সুযোগের টোপ দিয়ে বিভিন্ন বিজ্ঞাপন ও নোটিস ভেসে বেড়াচ্ছে সমাজমাধ্যমে। সে সবে যেন পরীক্ষার্থীরা আমল না দেন।
এমডি-এমএস প্রত্যাশী পরীক্ষার্থীদের সতর্ক করে বলা হয়েছে, সমাজমাধ্যমে অনেকেই নিট-পিজি পরীক্ষার প্রশ্ন বিক্রি করার নামে পরীক্ষার্থীদের বোকা বানাতে চাইছে। তাদের পাতা ফাঁদে ও প্ররোচনায় যেন কেউ পা না দেন।