এদিন সিবিআইয়ের তরফে OMR সংক্রান্ত রিপোর্ট জমা দেওয়া হয় আদালতে। যদিও রিপোর্ট দেখে পুরোপুরি সন্তুষ্ট হতে পারেনি বিচারপতি মান্থার বেঞ্চ। তারপরেই আদালতের এই নির্দেশ। আদালতে উপস্থিত সিবিআই অফিসারদের বিচারপতির বক্তব্য, ‘প্রয়োজনে একটা সরকারি সংস্থা, অন্য একটা বেসরকারি আইটি সংস্থার সাহায্য নিন। কারণ টেকনিক্যাল ব্যাপারটা নিয়ে নিশ্চিত না হয়ে কোর্ট আইনি পদক্ষেপ করতে চাইছে না।’ আদালতের প্রশ্ন, প্রথম সার্ভারের কপি কতবার ট্রান্সফার হয়েছে? তথ্য কি এডিট হয়েছে? হলে কতবার? এর সন্তোষজনক নিশ্চিত জবাব পেতে চায় কোর্ট। সাত সপ্তাহ পরে সিবিআইকে এই নির্দেশ কার্যকরের ক্ষেত্রে অগ্রগতির রিপোর্ট জমা দিতে হবে আদালতে।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবারই বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা নির্দেশ দেন, ওএমআর শিট স্ক্যান করে কোথায় রাখা হয়েছে? কোন হার্ড ডিস্কে রাখা হয়েছিল? আদালতের কাছে সেই বিষয়ে তথ্য জমা দিতে হবে সিবিআইকে। হাইকোর্টে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ আগেই জানিয়েছিল, ২০১৪ সালে প্রাথমিকে নিয়োগের পরীক্ষায় আসল ওএমআর শিট নষ্ট করা হয়েছে। পর্ষদের বক্তব্য ছিল, আসল প্রতিলিপি নষ্ট করা হলেও তার পরিবর্তে ডিজিটাইজড তথ্য রয়েছে। পরীক্ষার্থীদের ওএমআর শিট বা উত্তরপত্র মূল্যায়ণের জন্য এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানি নামক একটি সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।
তবে, মেটা ডেটা/ ডিজিটাল ফুটপ্রিন্ট থেকে আসল হার্ডডিস্কের হদিশ সিবিআই দিতে না পারার জন্যেই এবার নামী আইটি সংস্থার সাহায্যের ব্যাপারে জানাল আদালত। প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেট-এর মাধ্যমে যে নিয়োগ প্রক্রিয়া করা হয়, সেটা নিয়ে একাধিক অভিযোগ ওঠে। এই পরীক্ষা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের মামলা দায়ের করেন চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ।