সিলেন্ডারটি দেখে প্রথমেই অনেকে বোমা বলে দাবি করেছিলেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় গোপীবল্লভপুর থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে বালিভাষা ও শংকরবনি এলাকায় ব্রিটিশদের বিমান ঘাঁটি ছিল। তাই ধাতব সিলিন্ডারটিকে সাধারণ সিলিন্ডার নয়, প্রথম থেকেই এমনটাই মনে করছিলেন স্থানীয়রা। বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসার পর জায়গাটিকে ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছিল। খবর দেওয়া হয়েছিল বম্ব স্কোয়াড এবং কলাইকুন্ডা যুদ্ধবিমান প্রশিক্ষণে ঘাঁটিতে।
অবশেষে এক সপ্তাহের মাথায় চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিয়ে নষ্ট করা হয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বোমাটিকে। এদিন ঝাড়গ্ৰাম জেলার ও গোপীবল্লভপুরের একাধিক আধিকারিকের উপস্থিতিতে এয়ারফোর্সের পক্ষ থেকে বম্ব স্কোয়াডের সহায়তা নিয়ে নিষ্ক্রিয় করা হয় বোমাটি।
ভুলনপুরে নদী তীরবর্তী একটি বিস্তীর্ণ এলাকায় বালির বস্তা দিয়ে ঘিরে বিষ্ফোরণ ঘটানো হয়। বম্ব স্কোয়াড, বায়ুসেনার কর্তাদের পাশাপাশি এদিন উপস্থিত ছিলেন গোপীবল্লভপুরের এসডিপিও পারভেজ সারফারাজ, গোপীবল্লভপুর থানার আইসি কার্তিক চন্দ্র রায়,সাব ইন্সপেক্টর সন্দিপ সিংহ,গোপীবল্লভপুর ১ ব্লকের বিডিও শ্যামসুন্দর মিশ্র সহ প্রশাসনের আধিকারিকরা।
পারভেজ সারফারাজ বলেন, ‘ধাতব সিলিন্ডারটি উদ্ধার হওয়ার পর স্থানীয় সকলেই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বোমা বলে দাবি করেছিলেন। সেই অনুযায়ী নিয়ম মেনে বায়ুসেনাকে খবর দেওয়া হয়। চূড়ান্ত প্রস্তুতি নেওয়ার পর এদিন দুপুর ১টার পর বোমাটি নিষ্ক্রিয় করা হয় বিস্ফোরণ ঘটিয়ে।’
বোমাটি বিস্ফোরণ হওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট করেন। তিনি লেখেন, ‘ঝাড়গ্রাম জেলার গোপীবল্লভপুরের ভুলনপুর গ্রামে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বোমা উদ্ধার হয়েছিল। পুলিশ, প্রশাসন এবং বায়ু সেনা নিরাপদে তা নিষ্ক্রিয় করেছে।’ ভালোভাবে এই কাজটি সম্পন্ন করার সকলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।