কিচেন থেকে খাবার পৌঁছে দিচ্ছে টেবিলে, রোবট অনন্যায় মেতেছে কৃষ্ণনগরের এই রেস্তরাঁ Robot Ananyna serves as service girl in Krishnanagar restaurant


অয়ন ঘোষাল: বিদেশে প্রায়শই শোনা যায় কারখানা, অফিসে, রেস্তরাঁয় রোবটের কাজ করার কথা। দক্ষিণ কোরিয়ায় মতো দেশে রোবটের ব্যবহার সবচেয়ে বেশি। সেখানে কোনও কারখানায় দশ জন কর্মীর মধ্যে অন্তত একজন কর্মী রোবট। এরকমই এক রোবটে মেতেছে কৃষ্ণনগর। সেখানকার একটি রেস্তরাঁয় কাজ কাজ করছে অনন্যা নামে একটি রোবট।

আরও পড়ুন-কেরালায় বাড়ছে ব্রেন-খেকো অ্যামিবার সংক্রমণ, মৃত্যুর হার ৯০ শতাংশ

কিচেন রুম থেকে খাবার বয়ে নিয়ে সোজা খাবার টেবিলে পৌঁছে যাচ্ছে অনন্যা। ভিড়ভাট্টা দেখলেই থমকে যাচ্ছে  এবং বলছে “আমি অনন্যা খাবার নিয়ে যাচ্ছি আমাকে রাস্তা দিন”। দিনের পর দিন ভিড় বেড়েই চলেছে কৃষ্ণনগরের একটি রেস্তরাঁয়।

xmlns:xlink=”https://www.w3.org/1999/xlink“>

View this post on Instagram

 

A post shared by Zee 24 Ghanta (@zee24ghanta)

২০১৩ সালে তিনজন মহিলা নিয়ে জাতীয় সড়কের ধারে পেট্রোল পাম্পের পিছনে শুরু হয়েছিল মাদার্স হাট। গুটিগুটি পায়ে এগিয়ে ১১ বছরে একটি অভিজাত রেস্তোরার সমকক্ষে পরিণত হয়েছে এটি। কিন্তু কেন রোবটের নাম অনন্যা সে এক অজানা কাহিনী।

যখন প্রথম শুরু হয়েছিল এই রেস্তোরাঁ তখন তিনজন মহিলার মধ্যে একজনের নাম ছিল অনন্যা। যার বাড়ি, নদীয়ার শান্তিপুরের ফুলিয়াতে। রেস্তোরাঁর তিন মহিলার মধ্যে দুজনেই কাজ ছেড়ে চলে যায় কিন্তু থেকে যায় অনন্যা। আর অনন্যার হাত ধরেই আজ মাদার্স হাট পূর্ণতা ও পরিচিতি লাভ করেছে। আর সেই কারণেই অনন্যা কে সম্মান জানাতেই অত্যাধুনিক রোবটের নাম অনন্যা রাখা হয়েছে।

এখনও পর্যন্ত মোট চারটি অনন্যা নামের রোবট সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ক্রমাগত মানুষের কাছে খাবার পরিবেশন করে চলেছে। রোবটের চলার পথে ভিড়ভাট্টা হলেই দাঁড়িয়ে পড়ছে এবং জায়গা দেওয়ার অনুরোধ করছে। রেস্তোরাঁতে খাবার খেতে আসা সকলেই একটু ফাঁক পেলেই অনন্যার ছবি তুলে নিচ্ছে। শিশুরা রোবট অনন্যা কে নিয়ে মজাও করছে খুব। মহিলা পরিচালিত মাদার্স হাট রেস্তোরার বর্তমান মূল আকর্ষণ অনন্যা নামের এই রোবট।

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)





Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *