নৈহাটি পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, শহরে প্রতিদিন মোট প্রায় ৫ হাজার টোটো চলাচল করে। তবে, পুরসভার কাছে খবর আছে, একটি পরিবারের একের বেশি টোটো রয়েছে। টোটো কিনে সহজেই রোজগারের কারণে একটি পরিবার থেকে একাধিক টোটো রাস্তায় নামানো হচ্ছে। এমনকি, নিজে না চালালেও সেই টোটো ভাড়ায় খাটানো হচ্ছে। এমনকি, নৈহাটি পুরসভার বাইরে থেকে এসেও টোটো চালাচ্ছেন শহরে। মূলত, আরবিসি রোড এবং অরবিন্দ রোডে টোটোর সংখ্যা অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। মানুষের চলাচলের জন্য রাস্তায় জায়গা অনেকটাই কমে যাচ্ছে।
টোটো নিয়ে দৈনন্দিন এই সমস্যা বেড়ে যাওয়ার কারণেই এবার কড়া পদক্ষেপের পথে হাঁটল পুরসভা। বিষয়টি নিয়ে পুরপ্রধান অশোক চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘রাস্তায় মানুষ হাঁটাচলা করতে পারছে না। সেই কারণে আমরা টোটো নিয়ন্ত্রণের পথে হাঁটতে বাধ্য হলাম। পুরসভা টোটোর লাইসেন্স দেবে। যাদের লাইসেন্স থাকবে না তারা নৈহাটি শহরে আর টোটো চালাতে পারবে না।’
জানা গিয়েছে, ভাটপাড়া, কাঁকিনাড়া সহ আশপাশের পঞ্চায়েত এলাকা থেকেও টোটো আসছে নৈহাটিতে। পাশাপাশি নৈহাটি শহরে বড় মার মন্দিরে যাওয়ার জন্য টোটো ধরার লাইন লেগে থাকে। যাত্রীকে কে আগে নিয়ে যাবে সেই নিয়ে হুড়োহুড়ি পড়ে যায় অনেক সময়। বি সি রোড, অরবিন্দ রোড, বিজয়নগর, হাসপাতাল রোড সহ সর্বত্র টোটো দৌরাত্ম্য চলছেই। তবে একটি পরিবারে আপাতত একটি করে লাইন্সেস দিলে টোটো সংখ্যা অনেকটাই কমানো যাবে বলে মনে করছে পুরসভা। লাইসেন্স ছাড়াই বেশ কিছু বেআইনি টোটো চালানো হচ্ছে শহরে। সেখানেও কিছুটা লাগাম টানা যাবে বলেও মনে করা হচ্ছে।