Water Preservation In Asansol : জল সংরক্ষণ করলে তবেই মিলবে বাড়ি তৈরির অনুমতি – rupnarayanpur panchayat took a resolution to allow construction of houses only if water preservation


এই সময়, আসানসোল: চলতি গ্রীষ্মে তীব্র জলসঙ্কটে ভুগেছে আসানসোল শিল্পাঞ্চল। জলের দাবিতে প্রায় নিয়মিত পথ অবরোধে সামিল হয়েছেন বিভিন্ন এলাকার মানুষ। তীব্র তাপপ্রবাহে জলকষ্টের সঙ্গে নির্বিচারে গাছ কাটার দৃশ্যও দেখা গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে জল ও গাছ সংরক্ষণে বিশেষ রেজ়োলিউশন নিয়েছে রূপনারায়ণপুর পঞ্চায়েত।তাতে বলা হয়েছে, এখন থেকে বাড়ি, বহুতল, আবাসন, দোকান নির্মাণ করতে গেলে আগে বৃষ্টির জল সংরক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। বাড়ির ছাদে বা ট্যাঙ্কে বৃষ্টির জল ধরে রেখে তা ব্যবহারের ব্যবস্থা করতে হবে পাইপ লাইনের মাধ্যমে। এর সঙ্গে জমির মাপ অনুযায়ী বসাতে হবে ন্যূনতম ৫ থেকে ১০০টি নতুন গাছ। এই দুই ব্যবস্থা থাকলে তবেই নির্মাণের অনুমতি দেওয়া হবে। রূপনারায়ণপুর পঞ্চায়েতের প্রধান অপর্ণা দাস ও উপপ্রধান সন্তোষ চৌধুরীর দাবি, রাজ্যে কোনও পঞ্চায়েতের তরফে নেওয়া এমন সিদ্ধান্ত এই প্রথম।

উপপ্রধান বলেন, ‘এই সব এলাকায় চরম সঙ্কটের কথা ভেবে জল সংরক্ষণের চিন্তা-ভাবনা শুরু করি আমরা। সেই সময়ে আমাদের ব্লকের দায়িত্বে থাকা তৃণমূলের যুব নেতা মুকুল উপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, এমন কিছু করা হোক যাতে জলসঙ্কট মেটে। তেমনই গরম থেকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে মুক্তি দিতে প্রচুর পরিমাণে গাছ লাগানোর উপর জোর দিক পঞ্চায়েত। তার সেই পরামর্শ মেনে জল সংরক্ষণের সঙ্গে গাছ বসানোর বিষয়টি প্রস্তাব আকারে গ্রহণ করে কার্যকর করেছি।’

পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ তাঁদের সব সদস্যকে জানিয়ে দিয়েছেন, নির্দেশ অমান্য করে কোথাও নির্মাণকাজ হলে অবিলম্বে তা আটকাতে হবে। পদক্ষেপ করার জন্য জানাতে হবে পুলিশ-প্রশাসনকে।

ইতিমধ্যে এলাকার কয়েকজন প্রোমোটার তাঁদের আবাসনে বৃষ্টির জল ধরে রাখার উদ্যোগ নিয়েছেন। রূপনারায়ণপুরের প্রোমোটার চিত্ত মাজি বলেন, ‘আমার তৈরি করা চারটি বড় আবাসনে বৃষ্টির জল ধরে রাখার পরিকল্পনা করা হয়েছে। একটি আবাসনে আড়াইশো বড় গাছ বসিয়েছি।’

জল সংরক্ষণ নিয়ে হিন্দুস্তান কেবল্‌সের রাস্তায় একটি বহুতল আবাসনের বাসিন্দা প্রতাপ পাল বলেন, ‘সঙ্কটের কারণে আমরা জল সংরক্ষণের কাজ শুরু করেছি। ছাদের জল পাইপের মাধ্যমে নিয়ে যাওয়া হয় একটি কুয়োতে। প্রয়োজনে সেখানে ফটকিরি, চুনের মিশ্রণ দিয়ে জল পরিস্রুত করি।’

সালানপুর ব্লক তৃণমূলের সহ-সভাপতি বিজয় সিং বলেন, ‘রূপনারায়ণপুর পঞ্চায়েত দিয়ে এই ব্যবস্থা শুরু হল। ভবিষ্যতে সালানপুর ব্লকে তৃণমূল পরিচালিত ১১টি পঞ্চায়েতেই এই ব্যবস্থা চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।’

আসানসোলের মহকুমাশাসক বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য বলেন, ‘গাছ ও জল সংরক্ষণে রূপনারায়ণপুর পঞ্চায়েতের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই। আমাদের রাজ্যের অন্যান্য পঞ্চায়েতকে পথ দেখাবে রূপনারায়ণপুর।’ সালানপুরের বিডিও দেবাঞ্জন বিশ্বাসের বক্তব্য, ‘রূপনারায়ণপুর পঞ্চায়েতের এই সিদ্ধান্ত আমাদের ১১টি পঞ্চায়েতেই যাতে চালু করা যায়, তা অবশ্যই আমি দেখব।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *