কুমিরের খবর পেয়ে হাড়োয়ার পুলিশ প্রশাসনের পাশাপাশি মিনাখাঁ বনদপ্তরের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলেন। সকলকে সচেতন করার পাশাপাশি কুমিরটি দেখতে পেলেই বনদপ্তরের কর্মীদের জানানোর অনুরোধ করা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা রাম মণ্ডল বলেন, ‘কুমিরটিকে দু’বার হাড়োয়ার বিদ্যাধরী নদীতে দেখা গিয়েছে। সকালের দিকে বেশ কিছুক্ষণ নদীর চরে শুয়েছিল কুমিরটি। পরে সেখান থেকে চলে যায়। বিকেলের দিকে ওই চরের কিছুটা দূরে কুমিরটিকে দেখা গিয়েছে। এর আগে কখনও আমরা হাড়োয়ার বিদ্যাধরী নদীতে কুমীর দেখিনি। আমারা চাই অবিলম্বে বন দপ্তরের উদ্যোগে কুমিরটিকে নদী থেকে ধরে সুন্দরবন এলাকার নদীতে ছেড়ে দেওয়া হোক।’ স্থানীয় বাসিন্দা মোস্তাকিন মোল্লা বলেন, ‘কুমিরটি ৬–৭ ফুট লম্বা। দেখে মনে হচ্ছিল পূর্ণবয়স্ক কুমির। উত্তর রানিগাছি গ্রামের নদীর ধারে ভেসে ছিল কুমিরটি। এর আগে কখনও এই নদীতে কুমির দেখা যায়নি। এই ঘটনায় এলাকার মানুষ আতঙ্কিত।’ এলাকার মানুষ নদীতে কুমির ভাসতে দেখেছেন, তার ছবি তুলেছেন। তবে বন দপ্তরের কর্মীরা গিয়ে কুমির দেখতে পাননি। নজর রাখা হচ্ছে।