৭ তারিখ রবিবার তাঁদের পরিবারের ছেলেকে অপহরণ করা হয় বলে জানানো হয়। ঘটনার তদন্ত শুরু করে পুলিশ। অপরাধীদের গ্রেফতার করার জন্য ফাঁদ পাতে পুলিশ। মুক্তিপণের এক লাখ টাকা দেওয়া হবে বলে ফোনের ওপারে থাকা ব্যক্তিদের ডাকা হয়। অপহৃত যুবকের বাইকে করেই টাকা চাইতে এসেছিল সৈকত পাল এবং বাবুসোনা মণ্ডল নামক দুই ব্যক্তি। তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ।
এরপর তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ওই যুবককে কোথায় আটকে রাখা হয়েছে তা জানতে চায় পুলিশ। তাদের দেওয়া তথ্য মোতাবেক ওই যুবককে উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনায় পিটার ডিসুজা এবং আনিষা দাস নামক আরও দুই জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, ওই ফ্ল্যাটটি সৈকত পালের। ফাঁদ পেতে ওই যুবককে ফ্ল্যাটে ডাকা হয়েছিল এবং তারপর তাঁকে আটকে রেখে মুক্তিপণ চাওয়া হয়। ঘটনার নেপথ্যে কি আরও কেউ রয়েছে? কী ভাবে এই চক্র চালাত তারা? অতীতে কি কেউ তাদের শিকার হয়েছে? এই যাবতীয় তথ্য জানার জন্য তদন্তে নেমেছে পুলিশ। খাস কলকাতায় এই ধরনের ঘটনা ঘটা নিয়ে শোরগোল।
কলকাতা পুলিশের তরফে অবশ্য ডেটিং অ্যাপ ব্যবহারের বিষয়টি জানানো হয়নি। প্রসঙ্গত, অনলাইনে প্রতারণার শিকড় বহুদূর পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে সাম্প্রতিক সময়ে, একাধিক সমীক্ষায় উঠে এসেছে এই তথ্য। সেই জন্য রাজ্য পুলিশ এবং কলকাতা পুলিশের সাইবার ক্রাইম বিভাগকে যথেষ্ট মজবুত করা হয়েছে। পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে সচেতন করার জন্য অনলাইনে নিয়মিত প্রচারও করা হচ্ছে পুলিশের তরফে।