পরবর্তীতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শান্তনু ঠাকুর জানিয়েছেন, আগামী বুধবার থেকে ঠাকুরনগর ঠাকুর বাড়িতে ক্যাম্প করে নাগরিকত্বের আবেদন জমা দেওয়া হবে। রবিবার কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বাগদায় উপনির্বাচনের প্রচারে এসে কটাক্ষ করেছিলেন, ‘সিএএ কোনও মোয়া না লাড্ডু।’ এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন ববি হাকিম কোন ফ্যাক্টর না উনি যেখানে ফ্যাক্টর সেখানে গিয়ে কথা বলুন।’
শান্তনু ঠাকুরের মুখে এদিন ফের আসে এনআরসির কথা। তিনি এদিনের সম্মেলনে বলেন, ‘এটা না থাকলে কী সমস্যা আসতে পারে আজ প্রকাশ্যে বলি।আগামীতে ভারতবর্ষে যদি এনআরসি হয়, তাহলে আপনার কাছে সরকারের আইন অনুসারে সার্টিফিকেট আছে, থাকবে। আপনাকে এনআরসিতে বের করা সম্ভব নয়। তাই মতুয়ারা কখনওই এনআরসির আওতায় আসবে না।’
তবে, এই ক্যাম্প করার বিষয়টি নিয়ে চূড়ান্ত বিরোধিতা করা হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে। তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ মমতা বালা ঠাকুর বলেন, ‘ এইভাবে ক্যাম্প করা একটা ভাঁওতা, মানুষ এটা মানছে না। এটা তো কেন্দ্রীয় সরকার করবে। এটা তো ওঁর (শান্তনু ঠাকুর) ব্যক্তিগত ব্যাপার নয়। আমরা তো শুরু থেকেই নিঃশর্ত নাগরিকত্ব চাইছি।’ বাগদা উপনির্বাচনের আগে মানুষকে ভুল বার্তা দিতে এই ক্যাম্প করা হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি।’
প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচনের আগেই চালু করা হয় সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন। এই আইনের বিরোধিতা করা হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে। লোকসভা নির্বাচনের আগেও বেশ কিছুদিন ঠাকুর বাড়িতে এই ধরনের ক্যাম্প করা হয়েছিল। তবে একাধিক নথি জমা দিয়ে এই নাগরিকত্ব পাওয়ার বিষয়ে বিরোধিতা করে নিঃশর্ত নাগরিকত্ব দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে তৃণমূলের তরফে।