Rath Yatra 2024,জীবন্ত জগন্নাথ-বলরাম-সুভদ্রা আর মালপোয়ায় পুজো-সূচনা – kanthal bagan durga puja committee performed khuti puja on rath yatra day


এই সময়: কান টানলে যেমন মাথা আসে, তেমনই রথ এলেই নাকি দুর্গাপুজো অনেকটাই এগিয়ে আসে। শুরু হয়ে যায় কুমোরটুলিতে প্রতিমা বায়না দেওয়ার পালা। অনেক জায়গায় উদ্যোক্তারা আবার রথের দিনই খুঁটিপুজো করে তোড়জোড় শুরু করে দেন দুর্গাপুজোর। এন্টালি ফিলিপস মোড়ের কাছে কাঁঠালবাগান দুর্গাপুজো কমিটির উদ্যোক্তারাও এই দলে পড়েন। রবিবার ওঁরা একই সঙ্গে রথ ও দুর্গাপুজোর সূচনা— দুই-ই করলেন।পাড়ায় বাড়িগুলিকে নীল-সাদা রং করা হয়েছে। বিশ্বকাপ ফুটবলের পর এ বার এন্টালি কাঁঠালবাগানের বাসিন্দারা কোপা আমেরিকায় সবাই মিলে আর্জেন্টিনাকে সাপোর্ট করছেন নাকি! আর একটু পরে ব্যাপারটা পরিষ্কার হলো। এখানকার দুর্গোপুজো কমিটির উদ্যোক্তারা সঙ্গে করে নিয়ে এলেন তিন জনকে। রথের দিনটা এই তিনমূর্তিরই–জগন্নাথ, বলরাম এবং সুভদ্রা। পাড়ারই তিন খুদেকে এমন সাজিয়ে তাদের হাতে খুঁটিপুজো সেরে দুর্গাপুজোর তোড়জোড় শুরু হয়ে গেল কাঁঠালবাগানে।

পুজো এ বার ৭৮তম বছরে। কাঁঠালবাগানের উদ্যোক্তারা সাধারণত রথের দিনেই কুমোরটুলিতে প্রতিমার বায়না দিয়ে দুর্গাপুজোর তোড়জোড় শুরু করেন। তবে এ বছর তাঁরা শুধু দুর্গাপুজো নয়, রথকেও একই রকম স্মরণীয় করে রাখার পরিকল্পনা করেছেন। তাই পাড়ারই তিন খুদেকে জগন্নাথ-বলরাম-সুভদ্রা সাজিয়ে তাদের হাতেই পুজোর কাজের উদ্বোধন করালেন।

আর রথের দিনে জগন্নাথের প্রসাদ মালপোয়া থাকবে না, তা কি হয়! প্রায় এক ফুট ব্যাসের বিরাট একটা মালপোয়া সবাই মিলে ভাগ করে খেয়ে শুরু হলো পুজোর প্রস্তুতি। কাঁসর-ঘণ্টার আওয়াজে পাড়ায় ঘুরতে দেখা গেল জীবন্ত জগন্নাথ-বলরাম-সুভদ্রাকে।

পুজো-কমিটির পক্ষে সৌম্যজিৎ দাস বলেন, ‘এ বার আমরা পুজোর থিমে দেখাতে চেষ্টা করব ‘ধ্বংসের পর সৃষ্টি’। এর জন্যে প্রথম দফায় পাড়ার বাড়িগুলি নীল রং করা হয়েছে। কারণ সৃষ্টির শুরুতে নীল আকাশ আর নীল সমুদ্রই ছিল। এর পর আমরা পর্যায়ক্রমে রং বদলাতে শুরু করব।’

কমিটির সদস্যরা জানাচ্ছেন, নির্দিষ্ট সময়ান্তরে পাড়ার রং বদলে ক্রমশ ধূসর হয়ে যাবে। সেটা হলো ধ্বংসের প্রতীক। তার পর ফের দুর্গার হস্তক্ষেপে আবার পৃথিবী শস্য-শ্যামল হয়ে উঠবে। পাড়ার বাড়িগুলির রংও সেই মতো বদলে যাবে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *