ভাঙড় থানার পুলিশ ইতিমধ্যেই ওই দোকানের সিসি ক্যামেরার হার্ড ডিস্ক বাজেয়াপ্ত করেছে। ধৃতদের এ দিন বারুইপুর মহকুমা আদালতে পেশ করে তাদের ১৪ দিনের জন্য হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানায় পুলিশ। বিচারক ১০ দিনের পুলিশ হেফাজত মঞ্জুর করেন। কলকাতা পুলিশের ভাঙড় ডিভিশনের এক কর্তা বলেন, ‘যতজনকে সিসিটিভিতে চিহ্নিত করা গিয়েছে সবাইকে গ্রেপ্তার করে হবে। আগামী দিনে যাতে এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয় সেদিকে আমাদের নজর থাকবে।’
ঘটনার দু’দিন পরেও এলাকাবাসী প্রশ্ন তুলছেন, কেন আজগারকে পুলিশের হাতে তুলে না দিয়ে তাঁকে গণপিটুনি দেওয়া হলো? পাল্টা ভাঙড় বাজারের ব্যবসায়ীরা প্রশ্ন তুলেছেন, সারা রাত বাজারে নৈশপ্রহরী, কলকাতা পুলিশের অসংখ্য সিসি ক্যামেরা থাকা সত্ত্বেও কেন শতাধিক দোকান থেকে নিয়মিত জিনিসপত্র চুরি হচ্ছিল?
বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক সাবিরুল ইসলাম বলেন, ‘বিভিন্ন দোকান থেকে লাগাতার জিনিসপত্র, নগদ টাকা চুরি হচ্ছিল। তাই রবিবার ভোররাতে যখন আজগার ভাঙড় বাজারে উদ্দেশ্যবিহীন ভাবে ঘোরাঘুরি করছিল তখন চোর সন্দেহে তাঁকে পেটায় ৮ থেকে দশ জন।’
স্থানীয়দের অভিযোগ, রবিবার ভোর রাতে ভাঙড় থানার মাত্র ৫০০ মিটার দূরে একজনকে পিটিয়ে মারা হলেও পুলিশের দেখা মেলেনি। আজগার মারা যাওয়ার পরও দীর্ঘক্ষণ তাঁর দেহ পড়েছিল দোকানের সামনে। খবর পেয়ে দু’কিলোমিটার দূর থেকে পরিবারের লোকজন এসে টোটোয় চাপিয়ে মৃতদেহ তুলে নিয়ে বাড়ি চলে গেলেও হুঁশ ফেরেনি পুলিশের। পরে পুলিশ ফুলবাড়ি গ্রামে মৃতদেহ উদ্ধার করতে গেলে গ্রামের মহিলারা রাস্তা আটকে বিক্ষোভ দেখান।