চোর সন্দেহে ভাঙড়ে গণপিটুনি, গ্রেপ্তার ২ – police arrested two for man lost life allegedly mob lynching in bhangar


এই সময়, ভাঙড়: চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে এক যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশ দু’জনকে গ্রেপ্তার করল। ধৃতদের নাম সাহারুল মোল্লা ও সৈকত মণ্ডল। সাহারুলের বাসনপত্রের দোকানের সামনেই আজগার মোল্লাকে পিটিয়ে মারা হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাস্থলের কাছেই সৈকতের বাড়ি। পেশায় কম্পিউটার মেকানিক সৈকত ঘটনার সময়ে সাহারুলের দোকানে ছিলেন বলে অভিযোগ।পুলিশ সূত্রে খবর, মারধরের ঘটনায় কম করে দশ জন যুক্ত। ভাঙড় বাজারের বিভিন্ন দোকানে থাকা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে অন্তত তেমনটাই জানতে পেরেছে পুলিশ। যে দোকানের শাটারের সঙ্গে দড়ি দিয়ে বেঁধে আজগারকে পেটানো হয়েছিল তার দু’পাশে কাপড় ও ঘড়ির দোকানে দু’টি সিসি ক্যামেরা লাগানো আছে।

ভাঙড় থানার পুলিশ ইতিমধ্যেই ওই দোকানের সিসি ক্যামেরার হার্ড ডিস্ক বাজেয়াপ্ত করেছে। ধৃতদের এ দিন বারুইপুর মহকুমা আদালতে পেশ করে তাদের ১৪ দিনের জন্য হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানায় পুলিশ। বিচারক ১০ দিনের পুলিশ হেফাজত মঞ্জুর করেন। কলকাতা পুলিশের ভাঙড় ডিভিশনের এক কর্তা বলেন, ‘যতজনকে সিসিটিভিতে চিহ্নিত করা গিয়েছে সবাইকে গ্রেপ্তার করে হবে। আগামী দিনে যাতে এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয় সেদিকে আমাদের নজর থাকবে।’

ঘটনার দু’দিন পরেও এলাকাবাসী প্রশ্ন তুলছেন, কেন আজগারকে পুলিশের হাতে তুলে না দিয়ে তাঁকে গণপিটুনি দেওয়া হলো? পাল্টা ভাঙড় বাজারের ব্যবসায়ীরা প্রশ্ন তুলেছেন, সারা রাত বাজারে নৈশপ্রহরী, কলকাতা পুলিশের অসংখ্য সিসি ক্যামেরা থাকা সত্ত্বেও কেন শতাধিক দোকান থেকে নিয়মিত জিনিসপত্র চুরি হচ্ছিল?

বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক সাবিরুল ইসলাম বলেন, ‘বিভিন্ন দোকান থেকে লাগাতার জিনিসপত্র, নগদ টাকা চুরি হচ্ছিল। তাই রবিবার ভোররাতে যখন আজগার ভাঙড় বাজারে উদ্দেশ্যবিহীন ভাবে ঘোরাঘুরি করছিল তখন চোর সন্দেহে তাঁকে পেটায় ৮ থেকে দশ জন।’

গণপিটুনি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্নের মুখে পুলিশকর্তারা

স্থানীয়দের অভিযোগ, রবিবার ভোর রাতে ভাঙড় থানার মাত্র ৫০০ মিটার দূরে একজনকে পিটিয়ে মারা হলেও পুলিশের দেখা মেলেনি। আজগার মারা যাওয়ার পরও দীর্ঘক্ষণ তাঁর দেহ পড়েছিল দোকানের সামনে। খবর পেয়ে দু’কিলোমিটার দূর থেকে পরিবারের লোকজন এসে টোটোয় চাপিয়ে মৃতদেহ তুলে নিয়ে বাড়ি চলে গেলেও হুঁশ ফেরেনি পুলিশের। পরে পুলিশ ফুলবাড়ি গ্রামে মৃতদেহ উদ্ধার করতে গেলে গ্রামের মহিলারা রাস্তা আটকে বিক্ষোভ দেখান।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *