ঘটনায় গুরুতর জখম হলে ক্যানিং থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে উদ্ধার করে অভিযুক্তকে। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে ক্যানিংয়ের দীঘিরপাড় গ্রাম পঞ্চায়েতের কাঠপোল এলাকায়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, অভিযুক্ত যুবকের বাড়ি নামখানা ব্লকের মন্মথনগর গ্রামে। নাম তাপস মাপা। ক্যানিং দ্বারিকানাথ বালিকা বিদ্যালয়ের ওই ছাত্রী স্কুল শেষে বাড়ি ফিরছিল একা একা। ফাঁকা রাস্তায় তাকে একা পেয়ে অভিযুক্ত ওই ছাত্রীকে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে।
নাবালিকা রাজি না হওয়ায় জোর করে তার হাত ধরে টানাটানি করতে থাকে অভিযুক্ত। তখন বিষয়টি স্থানীয়দের চোখে পড়ে। তাঁরা কারণ জিজ্ঞাসা করলে সঠিক উত্তর দিতে পারেনি অভিযুক্ত। সেই কারণে স্থানীয়রা বেধড়ক মারধর করেন অভিযুক্তকে। যদিও অভিযুক্ত যুবকের দাবি নাবালিকাই তার কাছে সাহায্য চেয়েছিল, বাইকে কিছুটা এগিয়ে দিতে বলেছিল। সেটা করতে গিয়েই তিনি আক্রান্ত হয়েছেন। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘যুবকটি বাচ্চা মেয়েটিকে জোর করে বাইক নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। আমাদের সন্দেহ হওয়ায় যুবকটিকে জিজ্ঞাসাবাদ করি। বাচ্চাটির পরিবারের কেউ নয় বলে জানায় যুবকটি। যুবকটিকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
ক্যানিং থানার পুলিশ আপাতত তাপসকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। এই ঘটনায় সোমবার রাতে ক্যানিং থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন নাবালিকার বাবা। এসডিপিও ক্যানিং রাম কুমার মণ্ডল বলেন, ‘একটা অভিযোগ দায়ের হয়েছে। এক যুবককে আটক ও করা হয়েছে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য। তদন্ত চলছে।’ উল্লেখ্য গত কয়েকদিন ধরেই বেশ কিছু জেলায় একের পর এক গণপিটুনির ঘটনা ঘটছে। উত্তর ২৪ পরগনা থেকে শুরু করে বর্ধমান একাধিক জেলায় শিশু চুরির সন্দেহে গণপিটুনির ঘটনা লক্ষ্য করা গিয়েছে একাধিকবার। যদিও, আইন নিজের হাতে না নেওয়ার ব্যাপারে সতর্কবার্তা জানিয়েছে পুলিশ।