Dengue Awareness,ডেঙ্গি রুখতে জমির আবর্জনা পরিষ্কারের নির্দেশ প্রশাসনের – north 24 parganas district administration active for prevent dengue


এই সময়, বারাসত: সবে বর্ষা শুরু হয়েছে। তার আগে থেকেই ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যায় শীর্ষে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা বলে জেলা সূত্রের খবর। ডেঙ্গির সংক্রমণ রুখতে ইতিমধ্যে রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তর সতর্ক করেছে জেলা প্রশাসনকে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকেও ডেঙ্গির প্রকোপ রুখতে টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। পাশাপাশি পুরসভা এবং পঞ্চায়েতগুলোকেও নির্মীয়মাণ বাড়ি এবং পরিত্যক্ত জমিতে জমা জল পরিষ্কার করা-সহ বাড়ি বাড়ি সার্ভে করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।জেলা প্রশাসনের নির্দেশের পরেই পরিত্যক্ত জমির মালিকদের নোটিস পাঠানো শুরু করল পুরসভা। কোনও জায়গায় যাতে জল জমে না থাকে বা মশা না বাড়ে, তার দিকে নজর দিতে বলা হয়েছে। গোটা রাজ্যের মধ্যে ডেঙ্গি সংক্রমণে শীর্ষে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। শহরের পাশাপাশি গ্রামীণ এলাকায় জ্বরে আক্রান্তদের সংখ্যা বাড়ছে। চিকিৎসকদের দাবি, বর্ষা শুরুর মুখেই ডেঙ্গির ঊর্ধ্বগামী গ্রাফ দেখে অনুমান, আগামী দিনে এই সংখ্যাটা আরও বাড়বে।

তাই ডেঙ্গি নিয়ে মানুষকে সচেতন করতেই পুরসভা এবং পঞ্চায়েতগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য দপ্তর। জানা গিয়েছে, আইনি জটিলতায় জেলা সদরে বহুতল নির্মাণের কাজ কিছুটা হওয়ার পরেই বন্ধ হয়ে রয়েছে। অনেকে আবার জমি কিনে ফেলে রেখেছেন। ফলে সেই পরিত্যক্ত জমি এবং নির্মীয়মাণ অংশে জমা জল থেকে আবর্জনা জমার সমস্যা রয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বারাসতের এক প্রোমোটার বলেন, ‘বারাসত শহরে আমার কেনা জমিতে অদৃশ্য কারণে বাড়ি তৈরি করতে দেওয়া হচ্ছে না। ফলে সেখানে জল ও নোংরা রয়েছে। আর সেখান থেকেই ডেঙ্গির আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। পুরসভার উচিত দ্রুত বাড়ি তৈরির অনুমোদন দেওয়া।’

Dengue Fever: বাংলায় বাড়ছে ডেঙ্গি, শীর্ষে আপাতত মালদা
বারাসত পুরসভার চেয়ারম্যান অশনি মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘যে সমস্ত জায়গা পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে, সেই জমির মালিকদের জমি পরিষ্কার করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তা ছাড়া বাড়ি বাড়ি সার্ভে চলছে। আমাদের পুরসভার দু’টি ওয়ার্ড নিয়ে রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তর (সুডা) অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। তাই সেইগুলিতে নজর দেওয়া হচ্ছে।’

মধ্যমগ্রাম পুরসভার চেয়ারম্যান নিমাই ঘোষ বলেন, ‘পুরসভার টিম প্রতিদিন এলাকায় গিয়ে সাফাইয়ের কাজ করছে। যাঁরা জমি কিনে এখনও নির্মাণ করেননি, তাঁদের নোটিস পাঠানো হচ্ছে।’ অন্য দিকে, হাবরা পুরসভার চেয়ারম্যান নারায়ণচন্দ্র সাহা বলেন, ‘শহরে আর জল জমে না। ফলে মশার লার্ভা জন্মানোর প্রশ্নই নেই। তবে আমাদের স্বাস্থ্যের টিম অনবরত কাজ করছে। প্রতিদিন তাঁদের কাছ থেকে সার্বিক রিপোর্ট আমরা সংগ্রহ করছি।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *