তাই ডেঙ্গি নিয়ে মানুষকে সচেতন করতেই পুরসভা এবং পঞ্চায়েতগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য দপ্তর। জানা গিয়েছে, আইনি জটিলতায় জেলা সদরে বহুতল নির্মাণের কাজ কিছুটা হওয়ার পরেই বন্ধ হয়ে রয়েছে। অনেকে আবার জমি কিনে ফেলে রেখেছেন। ফলে সেই পরিত্যক্ত জমি এবং নির্মীয়মাণ অংশে জমা জল থেকে আবর্জনা জমার সমস্যা রয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বারাসতের এক প্রোমোটার বলেন, ‘বারাসত শহরে আমার কেনা জমিতে অদৃশ্য কারণে বাড়ি তৈরি করতে দেওয়া হচ্ছে না। ফলে সেখানে জল ও নোংরা রয়েছে। আর সেখান থেকেই ডেঙ্গির আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। পুরসভার উচিত দ্রুত বাড়ি তৈরির অনুমোদন দেওয়া।’
বারাসত পুরসভার চেয়ারম্যান অশনি মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘যে সমস্ত জায়গা পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে, সেই জমির মালিকদের জমি পরিষ্কার করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তা ছাড়া বাড়ি বাড়ি সার্ভে চলছে। আমাদের পুরসভার দু’টি ওয়ার্ড নিয়ে রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তর (সুডা) অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। তাই সেইগুলিতে নজর দেওয়া হচ্ছে।’
মধ্যমগ্রাম পুরসভার চেয়ারম্যান নিমাই ঘোষ বলেন, ‘পুরসভার টিম প্রতিদিন এলাকায় গিয়ে সাফাইয়ের কাজ করছে। যাঁরা জমি কিনে এখনও নির্মাণ করেননি, তাঁদের নোটিস পাঠানো হচ্ছে।’ অন্য দিকে, হাবরা পুরসভার চেয়ারম্যান নারায়ণচন্দ্র সাহা বলেন, ‘শহরে আর জল জমে না। ফলে মশার লার্ভা জন্মানোর প্রশ্নই নেই। তবে আমাদের স্বাস্থ্যের টিম অনবরত কাজ করছে। প্রতিদিন তাঁদের কাছ থেকে সার্বিক রিপোর্ট আমরা সংগ্রহ করছি।’