এই সময়: আরামদায়ক আসবাব, খাওয়াদাওয়ার জন্য সুন্দর, ঝকঝকে বাসন, এমনকী বিশ্রামের সময়ে পা মাসাজের যন্ত্র — সব মিলিয়ে লোকো পাইলট এবং অ্যাসিস্ট্যান্ট লোকো পাইলটদের জন্য ‘ফাইভ স্টার’ বন্দোবস্ত পূর্ব রেলের। সংস্থা সোমবার দাবি করে, হাওড়া, শিয়ালদহ, মালদা এবং আসানসোল — সব ডিভিশনেই নির্দিষ্ট কিছু স্টেশনে এই সুবিধা চালু হয়েছে।সম্প্রতি কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনার পরে কাঠগড়ায় তোলা হয় ভারতীয় রেলের সব ক’টি জ়োনের লোকো পাইলট ও অ্যাসিস্ট্যান্ট লোকো পাইলটদের কাজের পরিবেশকে। তারপরেই এমন উদ্যোগ কি না, সে প্রশ্ন তুলছেন চালক ও সহকারী চালকদের একাংশ।
উদ্যোগটা ঠিক কেমন?
পূর্ব রেলের ‘ক্রু লবি’-র ঢালাও পরিবর্তন ঘটানো হয়েছে। বর্তমানে সব ডিভিশন মিলিয়ে ২৬টি এমন লবিতে বিশ্রাম নিতে পারেন ট্রেন ম্যানেজার, মোটরম্যান, লোকো পাইলট, গার্ড এবং অন্যান্য রানিং স্টাফরা। পূর্ব রেল জানিয়েছে, এ বার এতে মেডিটেশন রুম, যোগা রুম, নানা ধরনের শিক্ষামূলক ভিডিয়ো থেকে কাজের আগে কিছুটা হাত সইয়ে নেওয়ার জন্য সিম্যুলেটিং মডিউলের ব্যবস্থাও রাখা হচ্ছে।
উদ্যোগটা ঠিক কেমন?
পূর্ব রেলের ‘ক্রু লবি’-র ঢালাও পরিবর্তন ঘটানো হয়েছে। বর্তমানে সব ডিভিশন মিলিয়ে ২৬টি এমন লবিতে বিশ্রাম নিতে পারেন ট্রেন ম্যানেজার, মোটরম্যান, লোকো পাইলট, গার্ড এবং অন্যান্য রানিং স্টাফরা। পূর্ব রেল জানিয়েছে, এ বার এতে মেডিটেশন রুম, যোগা রুম, নানা ধরনের শিক্ষামূলক ভিডিয়ো থেকে কাজের আগে কিছুটা হাত সইয়ে নেওয়ার জন্য সিম্যুলেটিং মডিউলের ব্যবস্থাও রাখা হচ্ছে।
হাওড়া ডিভিশনের হাওড়া, ব্যান্ডেল, বর্ধমান, আজিমগঞ্জ এবং রামপুরহাট, শিয়ালদহ ডিভিশনের শিয়ালদহ, কলকাতা, দমদম, নৈহাটি এবং রানাঘাট, আসানসোল ডিভিশনের আসানসোল, মধুপুর, দুমকা এবং মালদা ডিভিশনের ভাগলপুর, জামালপুর, সাহেবগঞ্জ ও মালদা টাউন স্টেশনে এই ব্যবস্থা চালু হয়ে গিয়েছে।
তবে এ সবে সন্তুষ্ট নয় পূর্ব রেলের কর্মীদের সংগঠন ‘ইস্টার্ন রেলওয়েমেনস ইউনিয়ন’ (ইআরএমইউ)। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অমিত ঘোষ বলেন, ‘রানিং স্টাফদের জন্য খুব ভালো আয়োজন করা হয়েছে। কিন্তু কর্মীরা ওই লবিতে বসে বিশ্রামের সময় পাবেন তো? জ়োন যদি প্রকৃতই কর্মী-বান্ধব হতে চায়, তা হলে এ সব লোক-দেখানো কাজ না করে শূন্যপদ পূরণ করুক। রানিং স্টাফরা অতিরিক্ত সময় কাজ না করলে তাঁদের আর কোনও সমস্যা থাকবে না।’