এদিকে, ইতিমধ্যে অবৈধ টোটো ধরপাকড় শুরু হয়েছে জেলায়। নতুন নিয়ম চালুর ব্যাপারে জানিয়ে সোমবার ডিসি (ট্র্যাফিক) বিজি সতীশ বলেন, ‘এরইমধ্যে প্রায় ১০০-র বেশি টোটো আটক করা হয়েছে। ১ অগস্ট থেকে কেউ নতুন নিয়ম ভাঙলে তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিনা লাইসেন্সে বা সরকারি দেওয়া রুটের বাইরে যদি কেউ টোটো চালায় তা হলে জরিমানা করা হবে। নতুন নিয়মের ব্যাপারে জানাতে রানিগঞ্জ, আসানসোল সমেত বিভিন্ন এলাকায় মাইকে প্রচারও শুরু করেছি আমরা।’
অবৈধ টোটো বিক্রেতাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিচ্ছে প্রশাসন। জেলার আরটিও মৃন্ময় মজুমদার বলেন, ‘রানিগঞ্জ ও আসানসোলের ৮টি টোটো বিক্রেতাকে চিহ্নিত করা হয়েছে। শিগগিরই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া সালানপুর ব্লকের রূপনারায়ণপুর, আহ্লাডি, জামুড়িয়ার মতো এলাকা থেকে অবৈধ টোটো বিক্রির অভিযোগ এলেও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আরটিও আরও জানান, আগামী বুধবার দুই বর্ধমান, বীরভূম, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া জেলা নিয়ে বৈঠক করতে দুর্গাপুর ও আসানসোলে আসছেন পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী। সেখানে অটো-টোটোর সমস্যা ও পরিবহণের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে।
তৃণমূলের পরিবহণ শ্রমিক সংগঠনের নেতা রাজু ওয়ালিয়া বলেন, ‘অবৈধ টোটো বিক্রেতাদের শোরুম বন্ধ করার দাবি জানাচ্ছি। এনিয়ে রবিবার আমরা মন্ত্রী মলয় ঘটকের সঙ্গে আলোচনা করেছি। রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রীকেও বিষয়টি জানানো হবে।’ সূত্রের খবর, শুধুমাত্র আসানসোলে প্রায় হাজার দশেক ও রানিগঞ্জে ৮ হাজার টোটো চলে বর্তমানে। অবৈধ টোটোর দাপট রয়েছে রূপনারায়ণপুর, নিয়ামতপুর, কুলটি ও জামুড়িয়া এলাকাতেও।