খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের একটি ইঞ্জিন। দীর্ঘ সময়ের চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। পড়ুয়া এবং শিক্ষিকারা প্রত্যেকেই সুস্থ রয়েছেন। তবে আতঙ্কে রয়েছেন তাঁরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় কৃষ্ণগঞ্জ থানার পুলিশ। কৃষ্ণগঞ্জের বিডিও অফিসের আধিকারিকরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান এবং স্কুল পরিদর্শন করেন।
এক অভিভাবক বলেন, ‘হঠাৎ শুনলাম স্কুলে বিস্ফোরণ হয়েছে। তড়িঘড়ি পৌঁছে আমি দেখি চারিদিকে ধোঁয়া। ছেলেটা ভালো আছে দেখে শান্তি পেয়েছি। গ্রামের সকলে মিলে এগিয়ে এসে স্কুলের আগুন নিভিয়েছে। পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের একটি ইঞ্জিনও। কী ভাবে এই আগুন লাগল তা বলতে পারব না। কিন্তু, স্কুল কর্তৃপক্ষের আরও সচেতন হওয়া উচিত।’
এলাকার এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ‘হঠাৎ একটি শব্দ শুনতে পেয়ে চমকে গিয়েছিলাম। গিয়ে দেখি স্কুলে আগুন ধরেছে। তারপর সকলে মিলে এই আগুন নেভানো হয়েছে।’
প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে, গ্য়াসের পাইপলাইন বাস্ট করেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। দমকলের আধিকারিকরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। রান্নার গ্যাস কী ভাবে সুরক্ষিত রাখতে হবে সেই বিষয়গুলি বুঝিয়ে দেন তাঁরা। স্কুলের শিক্ষিকাদেরও এই বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে। এদিন গ্রামবাসীরা সাহায্যের জন্য এগিয়ে না এলে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে যেতে পারত, এই আশঙ্কা করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, স্কুলগুলিতে মিড ডে মিলের ব্যবস্থা করার পর থেকেই গ্যাস রাখা হয়। সেই গ্যাস থেকে যাতে কোনও দুর্ঘটনা না ঘটে সেই কারণে বারবার সচেতন করা হয় রান্নার কাজে যুক্ত কর্মীদের।