স্কুলের নামে চলছিল কোচিং, ক্ষিপ্ত গ্রামবাসীর হামলা ভবনে-ভাঙচুর – coaching center is running instead of english medium school in jharkhali


এই সময়, ঝড়খালি: সরকার থেকে গ্রামে একটি স্কুল বিল্ডিং তৈরি হলেও আর স্কুল হয়ে ওঠেনি। পরে এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বিল্ডিংটি নিয়ে ইংরেজি মাধ্যম স্কুল করবে বলে পঞ্চায়েতে আর্জি জানায়। গ্রামের ছেলেমেয়েদের কথা ভেবে পঞ্চায়েত স্কুল ভবনটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটিকে দেয়। কিন্তু অভিযোগ, সেখানে ইংরেজি মাধ্যম স্কুল না করে একটি কোচিং সেন্টার খুলে বসেন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্ণধার অমৃতা বোস গুপ্তা। স্কুল না হওয়ায় বহুদিন ধরেই গ্রামবাসীরা রেগে ছিলেন। মঙ্গলবার রাতে ওই বিল্ডিংয়ে গ্রামের লোকজন হামলা চালান বলে অভিযোগ। ভাঙচুর করা হয় স্কুলের সিসি ক্যামেরা। বিল্ডিংটি ফেরত চেয়ে জেলা প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন অমৃতা। সুন্দরবনের প্রত্যন্ত ঝড়খালি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ঘটনা।বাসন্তী ব্লকের ঝড়খালির পার্বতীপুরে সরকারি জমিতে স্কুল তৈরির জন্য এই বিল্ডিংটি তৈরি করা হয়। কিন্তু পরে আর স্কুল চালু হয়নি। খালি বিল্ডিং দেখে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্ণধার অমৃতা প্রশাসনের দ্বারস্থ হন। কথা ছিল তিনি সেখানে একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুল করবেন। ২০২৩ সালে প্রশাসন অমৃতাকে স্কুল করার অনুমোদন দেয়। গ্রামের মানুষের অভিযোগ, স্কুল করার কথা বলে নিলেও তা স্কুল আর হয়নি। কয়েক জনকে নিয়ে একটি কোচিং সেন্টার চলছিল। এই নিয়ে ক্ষোভ জমছিল গ্রামে। গ্রামের মানুষের অভিযোগ, বাচ্চা পড়ানো ও খাবার দেওয়ার ভিডিয়ো পোস্ট করে বিদেশ থেকে টাকা রোজগারের বন্দোবস্ত করছিলেন ওই মহিলা। তাই তাঁরা প্রতিবাদ করেন। উপপ্রধান দিলীপ মণ্ডল বলেন, ‘কোচিং সেন্টার খুলে ছোটদের পড়ানোর ভিডিয়ো পোস্ট করে এনজিও-র নামে বিদেশ থেকে টাকা রোজগার করছিলেন অমৃতা।

এ দিকে আমরা বিল্ডিংটি স্কুল হবে বলে দিয়েছিলাম।’ অমৃতার অভিযোগ, ‘মঙ্গলবার রাতে গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান দিলীপ মণ্ডল ও তাঁর অনুগামীরা স্কুল বিল্ডিংয়ে হামলা চালায়। মারধর করা হয় মহিলাদের। বিল্ডিং ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। ওখানে যাঁরা পড়ান মারধর করা হয়েছে সেই সমস্ত শিক্ষকদেরও।’ অমৃতার আরও অভিযোগ, ‘মোবাইল কেড়ে নেয়। ঝামেলার ভিডিয়ো মোছার পর তা ফেরত পাই। প্রাণ বাঁচাতে সেখান থেকে পালিয়ে বারুইপুরে চলে আসি। সেখানে পুলিশ সুপারের দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। ওই স্কুল বাড়িটি আমাদের ফিরিয়ে দেওয়া হোক।’ উপপ্রধান দিলীপ মণ্ডল বলেন, ‘টাকা রোজগার করার জন্যই অমৃতা ওই কোচিং চালাচ্ছিলেন আর ভিডিয়ো পোস্ট করছিলেন। তাই তাঁকে তা বন্ধ করতে বলা হয়। কিন্তু তিনি কোনও কথাই শোনেননি। এ নিয়ে গ্রামের মানুষের ক্ষোভ বাড়ছিল। তাই রাতে গ্রামের মহিলারাই ওই স্কুল বাড়িতে গিয়ে অমৃতাদের এলাকা ছাড়া করিয়েছেন। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছেন অমৃতা।’ বারুইপুর জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *