কাজের থেকে সামান্য ফুরসত পেলেই তিনি ছুটে আসেন নিজের বাড়ি জিয়াগঞ্জে। গত শুক্রবার তিনি বহরমপুর আদালতে হাজির হয়েছিলেন। ২০১৩ সালের এক ঘটনার প্রেক্ষিতে বহরমপুর থানায় অরিজিৎ সিংয়ের নামে একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। সেই মামলার প্রেক্ষিতেই তিনি আদালতে হাজিরা দিতে এসেছিলেন।
এদিকে হাতের কাছে তারকাকে পেয়ে একবার তাঁর সঙ্গে ফ্রেমবন্দি হওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করতে দেখা যায় অনেককেই। আইনজীবী, ক্লার্ক, আদালতে আসা অনেকেই তাঁকে সেলফির জন্য আবেদন করেন। এজলাস থেকে বেরিয়ে এসে আদালতের সিঁড়িতে বিচারক ভাস্কর ভট্টাচার্য এবং অন্যান্য আইনজীবীরা অরিজিৎ সিংয়ের সঙ্গে একটি সেলফিতে ধরা দেন। সেই ছবিগুলিই এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। লোকসভা নির্বাচনে ভোট দিতে গিয়েও তাঁকে পেয়ে সেলফির আবদার জানিয়েছিলেন স্থানীয় অনেকেই।
উল্লেখ্য, জিয়াগঞ্জের ভূমিপুত্র অরিজিৎ সিংয়ের ছোটবেলা থেকেই গানবাজনার প্রতি অমোঘ টান ছিল। তিনি ১৮ বছর বয়সে একটি রিয়্যালিটি শোতে অংশগ্রহণ করেছিলেন। সেই শো থেকেই তাঁর জনপ্রিয়তা বাড়তে শুরু করে। শো জিততে না পারলেও লাখ লাখ মানুষের মন জয় করেছিলেন তিনি। ধীরে ধীরে তাঁর জনপ্রিয়তা তুঙ্গে ওঠে। বলিউডের একের পর এক মেগাবাজেট ছবিতে প্লে ব্যাকের সুযোগ পান তিনি। আপাতত তিনি বলিউডের ‘নম্বর ১’ গায়ক বলেই দাবি সিনে মহলের।
প্রসঙ্গত, স্কুটারে চড়ে প্রায়ই নিজের এলাকা চষে বেড়ান তিনি। পাশাপাশি এলাকাবাসীর আপদে বিপদে তাঁদের পাশে দেখা যায় অরিজিৎ সিংকে। একবার একটি লাইভ কনসার্টে তিনি মুর্শিদাবাদে একটি স্কুল খোলার ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন। আর সেই কারণে ভক্তদের পাশে থাকার আহ্বান জানিয়েছিলেন তিনি।