স্মারকলিপিতে দুই শ্রমিক সংগঠনের নেতারা জানিয়েছেন, চিত্তরঞ্জন রেল কারখানায় চলতি অর্থবর্ষে ৭০০ ইঞ্জিন নির্মাণের অর্ডার দেওয়া হয়েছে। অথচ এই পরিমাণ ইঞ্জিন তৈরির প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মী কারখানায় নেই। পরিসংখ্যান দিয়ে তাঁরা জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে চিত্তরঞ্জন থেকে ৩৬৬১টি পদ সারেন্ডার করা হয়েছে।
ওই স্মারকলিপিতে দাবি করা হয়েছে, এই মুহূর্তে রেল কারখানায় ৩৫৫০টি পদ শূন্য। চলতি বছরে ৩২৪ জন অবসর নেবেন। ২০২৫ এবং ২০২৬-এ অবসর নেবেন আরও ৫১৭ ও ৫৯৫ জন রেলকর্মী। এছাড়া গত ১৬ মার্চ রেলের পক্ষ থেকে চিঠিতে বলা হয়েছে, আগামী অর্থবর্ষে চিত্তরঞ্জনে দেশের বৃহত্তম স্টিল ফাউন্ড্রিতে উৎপাদন বন্ধ করার প্রস্তাব রয়েছে।
ইতিমধ্যে বন্ধ করা হয়েছে একাধিক শপ। যে সব শপগুলোয় কাজ বন্ধ করা হয়েছে, সেখানে কয়েক লক্ষ টাকার যন্ত্রপাতি ও কাঁচামাল রয়েছে। এই অবস্থায় ইঞ্জিনের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে অবিলম্বে শূন্যপদগুলো পূরণ করা প্রয়োজন। দাবিপত্রে বলা হয়েছে, শিল্পক্ষেত্রে সম্প্রীতি বজায় রাখতে ইউনিয়নের গোপন ব্যালটে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। এ বিষয়ে ইতিমধ্যে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশও রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে শ্রমিক নেতারা জানান, গত বছরের ১৭ মে চিত্তরঞ্জনের এরিয়া কমিটি নির্বাচনের পরে এখনও ভাইস ওয়ার্ডেনদের দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। অবিলম্বে সেই ব্যবস্থা চালুর দাবি তোলা হয়েছে। চিত্তরঞ্জনে এই মুহূর্তে খালি পড়ে রয়েছে ২০০০-এরও বেশি রেল আবাসন। শ্রমিকে নেতাদের বক্তব্য, শহরের স্বার্থে ও রেলের রাজস্ব বাড়াতে ওই সব খালি আবাসন অবসরপ্রাপ্ত রেলকর্মী ও স্থানীয় স্বীকৃত ব্যবসায়ীদের দেওয়া হোক।
সম্প্রতি সামান্য ঝড়-বৃষ্টিতে শহরে বিদ্যুৎ ও পানীয় জলের যে সমস্যা তৈরি হচ্ছে, তা মেটাতে নির্দিষ্ট প্রস্তাব দিয়েছে দুই ইউনিয়ন। রেল হাসপাতালের পরিকাঠামোর সামগ্রিক উন্নতির কথাও বলা হয়েছে। সিটু দাবি করেছে, কলকাতা-জসিডি ট্রেনটিকে ফের চালু করা হোক। একইসঙ্গে জসিডি-বেঙ্গালুরু এক্সপ্রেস, বন্দে ভারত এক্সপ্রেস, অনন্যা এক্সপ্রেস ও অকালতখত এক্সপ্রেসের জন্য চিত্তরঞ্জনে স্টপেজের দাবি জানানো হয়েছে।
