রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের টেন্ডার পাইয়ে দেওয়ার নাম করে আর্থিক প্রতারণা! নিজেকে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক বলে দিত ভুয়ো পরিচয়ও। নেতা-মন্ত্রীদের সঙ্গে পরিচয় রয়েছে বলেও দাবি করত সে। কোটি কোটি টাকা আর্থিক প্রতারণা মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার কসবার যুবক বুধাদিত্য চট্টোপাধ্যায়। বুধবার সকালে তাকে গ্রেফতার করেন তদন্তকারীরা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, ২০১৯ সাল থেকে এই প্রতারণার ফাঁদ পেতেছিল সে। যদিও তার নামে প্রথম অভিযোগ দায়ের হয়েছিল ২০২২ সালে।অভিযোগ, রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের টেন্ডার পাইয়ে দেওয়ার নাম করে টাকা তুলত সে। ২৫ থেকে শুরু করে ৫০ হাজার টাকা নিত সে। কারও ক্ষেত্রে সেই অঙ্কটা অনেকটাই বেড়ে যেত। বেঙ্গালুরুর এক সংস্থার সঙ্গেও এই ধরনের প্রতারণা করেছে সে, অভিযোগ ওঠে এমনটাই। গত পাঁচ বছর ধরে কোটি কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। পাশাপাশি স্বাস্থ্য দফতরের নামে মেডিক্যাল কিট সরবরাহ করার জন্য টাকা নেওয়ার অভিযোগও উঠেছে তার বিরুদ্ধে। এভাবে প্রায় কোটি কোটি টাকা আর্থিক তছরুপ করেছে বুধাদিত্য, অভিযোগ এমনটাই।
২০২২ সালে আনন্দপুর থানায় তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। অভিযোগের ভিত্তিতে কলকাতা পুলিশের হাতে গ্রেফতারও হয়েছিল সে। বর্তমানে সে জামিনে মুক্তি ছিল।
২০২২ সালে আনন্দপুর থানায় তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। অভিযোগের ভিত্তিতে কলকাতা পুলিশের হাতে গ্রেফতারও হয়েছিল সে। বর্তমানে সে জামিনে মুক্তি ছিল।
এরপরেই মামলা যায় ইডির হাতে। তদন্তকারীদের সন্দেহ, আর্থিক প্রতারণা করার জন্য নিজেকে ক্ষমতাশালী হিসেবে পরিচয় দিত বুধাদিত্য। কখনও নিজেকে ইঞ্জিনিয়র, আবার কখনও হাভার্ড বিশ্ববিদ্যলয়ের গবেষক হিসেবে পরিচয় দিত। শুধু তাই নয়, ক্ষমতাশালীদের সঙ্গে তার ওঠা বসা রয়েছে বলে দাবি করেছিল বুধাদিত্য।
মঙ্গলবার তাকে সিজিও কমপ্লেক্সে ডাকা হয়। তাকে দীর্ঘক্ষণ ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। কিন্তু, জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও তদন্তকারীদের সাহায্য করছিল না সে, অভিযোগ ওঠে এমনটাই। এরপর বুধবার তাকে তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগে গ্রেফতার করে পুলিশ। বুধবারই আদালতে তোলা হতে পারে বুধাদিত্য চট্টোপাধ্যায়কে, সূত্রের খবর এমনটাই।