Fake Teacher Case,জাল শিক্ষক! হাইকোর্টের ভার্চুয়াল তলব ৩ কর্তাকে – calcutta high court virtual summons to 3 officials in fake teacher case


এই সময়: মুর্শিদাবাদের গোথা হাইস্কুলে জাল নথিতে ছেলেকে হেডমাস্টার বাবার শিক্ষকের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার ঘটনার পর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে এমন জাল শিক্ষকের হদিশ মিলছে। জাল শিক্ষক ধরতে হাইকোর্ট তিন সদস্যের কমিটি গড়ে দিয়েছিল। মঙ্গলবার বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে সেই কমিটির তরফে জানানো হয়, এমন আরও দু’জন শিক্ষকের হদিশ মিলেছে।একই সঙ্গে রাজ্য জানায়, হাইকোর্টের আগের নির্দেশ মতো শিক্ষা দপ্তরের অধীন সমস্ত স্কুলে নিযুক্ত ১ লক্ষ ৬০ হাজার ২৫৪ জন শিক্ষক-শিক্ষিকার তথ্য বাংলার শিক্ষা পোর্টালে আপলোড করার জন্যে সংগ্রহের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। গোথার ঘটনার পর কমিশনার অফ স্কুল এডুকেশন, এসএসসির চেয়ারপার্সন এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতিকে নিয়ে তিন সদস্যের কমিটি গড়ে দিয়েছিল হাইকোর্ট।

রাজ্যে আর কোনও বেআইনি নিয়োগ হয়েছে কিনা, কমিটিকে তা খোঁজার দায়িত্ব দেওয়া হয়। মঙ্গলবার ওই কমিটির তরফে শিক্ষা দপ্তরের আইনজীবী বিশ্বব্রত বসু মল্লিক জানান, উত্তর দিনাজপুর এবং পশ্চিম বর্ধমানে এমন দু’জনের হদিশ পেয়েছে কমিটি, দু’জনই অরগানাইজার টিচার। উত্তর দিনাজপুরের শিক্ষকের বেতন ২০১৯ সাল থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

প্রাথমিক শিক্ষকদের বদলির আবেদন বিবেচনা অফলাইনেই, বোর্ডকে নির্দেশ হাইকোর্টের

আইনজীবী দাবি করেন, এমন আরও কিছু নিয়োগ হয়েছে বিভিন্ন সময়ে হাইকোর্টের নির্দেশেই। বিচারপতি বসুর প্রশ্ন, অরগানাইজার টিচার কী ভাবে স্কুলে অন্য শিক্ষকদের মতো চাকরি করছেন? বেতন নিচ্ছেন? কমিটির রিপোর্ট দেখে বিচারপতি বসুর প্রশ্ন, কোর্টের কোন নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁরা চাকরি পেয়েছেন, তার উল্লেখ নেই কেন?

২৩ জুলাই কমিটির তিন সদস্যকে ভার্চুয়ালি আদালতে হাজির থেকে বিচারপতির প্রশ্নের উত্তর দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই সঙ্গেই বিচারপতি বসুর নির্দেশ, এক লক্ষ ৬০ হাজার শিক্ষকের যে তথ্য শিক্ষা দপ্তর বাংলার শিক্ষা পোর্টালে তুলবে বলে জানিয়েছে, এই সংখ্যার বাইরে আর কোনও শিক্ষক আছেন কিনা, যাঁরা রাজ্যের কোষাগার থেকে বেতন নিচ্ছেন, তাও খতিয়ে দেখে রিপোর্ট দিতে হবে ২৩ জুলাই।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *