এখানেই শেষ নয়, ওই এলাকায় সরকারি জায়গা দখল করে আরও অনেকেই বাড়ি তৈরি করেছেন বলে অভিযোগ এলাকাবাসীদের। সেই সমস্ত বিষয়েও পদক্ষেপ করা হবে বলে জানিয়েছেন খড়গপুরের মহকুমাশাসক পাটিল যোগেশ অশোক রাও। অপরদিকে, ঘটনা ঘিরে রাজনৈতিক চাপানউতর শুরু হয়েছে জেলা জুড়ে।
প্রসঙ্গত,খড়গপুর-বেনাপুর রাজ্য সড়কের পাশে একাধিক সরকারি প্লট বা জায়গা দখল করার অভিযোগ উঠেছে বেশ কিছু জমি দালাল বা প্রোমোটারদের বিরুদ্ধে। তদন্ত করতে গিয়ে দেখা যায় ওই জায়গাতে মকরামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্মাণ সহায়ক শিবব্রত সিংহ রায় (দাগ নম্বর ৩৪ ও খতিয়ান নাম্বার ৭৫১)-ও অবৈধভাবে বাড়ি তৈরি করে বসে আছেন। এরপরই, স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান দিপালী সিংহ রায় মহকুমাশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।
তড়িঘড়ি মহকুমাশাসকের তরফে গত ১ জুলাই একটি নোটিশ পাঠিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়, ৯ জুলাই (মঙ্গলবার)-র মধ্যেই ওই বাড়ি ভেঙে ফেলতে হবে। না হলে প্রশাসনের তরফেই বুলডোজার দিয়ে ভেঙে দেওয়া হবে বাড়ি। এরপরই, বাড়ি ভাঙার কাজ শুরু করেন ওই নির্মাণ সহায়ক। মঙ্গলবার অর্থাৎ ৯ জুলাইয়ের মধ্যে বাড়ি ভাঙার কাজ প্রায় শেষও হয়ে যায়। যদিও এলাকাবাসীদের অভিযোগ, ওই এলাকায় এমন একাধিক বাড়ি আছে, যা সরকারি জায়গা অবৈধভাবে দখল করে নির্মাণ করা হয়েছে। প্রোমোটার বা জমি মাফিয়ারাই ঘুরপথে এই সমস্ত জায়গা দখল করে চলেছেন বলে অভিযোগ।
এই বিষয়ে মহকুমাশাসক পাটিল যোগেশ অশোক রাও বলেন, ‘প্রতিটি ক্ষেত্রেই নিয়মানুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। আমরা প্রথমে নোটিশ পাঠাব। যদি, নিজেরাই বাড়ি ভেঙে না ফেলেন, প্রশাসনকে পদক্ষেপ নিতে হবে।’ প্রশাসনের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন জেলা তৃণমূলের সভাপতি সুজয় হাজরা।