দেবব্রত ঘোষ: মায়ের মরদেহ আগলে রেখে বন্ধ বাড়িতে পড়ে রইলো মেয়ে। হাওড়ার চ্যাটার্জিহাট থানার অন্তর্গত তাঁতিপাড়া এলাকার এই ঘটনায় আবার যেন ধরা পড়ল ২০১৫ সালে ঘটা রবিনসন স্ট্রিটের ছায়া। সেই ঘটনাতেও দেখা গিয়েছিল দিদি দেবযানীর দেহ আগলে রেখে ছিলেন তাঁর ভাই পার্থ দে। পুলিস ঘটনাস্থলে এসে শেষমেশ উদ্ধার করল সেই মরদেহ। আর তারপর সেই মেয়েকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে রিহ্যাব সেন্টারে।
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: ”যে যার মতো দাম বাড়িয়ে যাচ্ছে, যেন মুনাফা খাওয়ার খনি!’, আগুন বাজারে রুষ্ট মমতা…
হঠাৎই হাওড়ার চ্যাটার্জিহাট থানার অন্তর্গত আট নম্বর তিব্বতিবাবা লেনের বাড়ির ভেতর থেকে পচা দুর্গন্ধ আসা শুরু করে। সেই দুর্গন্ধ স্থানীয় এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে এলাকার মানুষদের মধ্যে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা তৎক্ষণাৎই খবর দেন পুলিসে। দরজা ভাঙার পর দেখা যায় ঘরের মেঝেতে পচাগলা অবস্থায় পড়ে রয়েছে ওই বাড়ির বাসিন্দা মিনতি মুখার্জির দেহ। ওনার বয়স ছিল ৭০ বছর। আর তাঁর পাশে সেই দেহ আগলে রয়েছেন তাঁরই মেয়ে কাকলী মুখার্জি(৪৫)। সেই খবর পেয়ে কলকাতা থেকে ছুটে আসেন মিনতি দেবীর ভাই বরুণ ব্যানার্জি।
আরও পড়ুন: Kolkata Lynching Case: এবার সল্টলেকে গণপিটুনি, ছেলেধরা সন্দেহে স্থানীয়দের রোষের মুখে ৩…
তিনি এও জানান যে তাঁর দিদি বেশ কয়েকদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন। আর ওনার ভাগ্নিও মানসিক ভাবে ভারসাম্যহীন। দিদির বাড়িতে মাঝেমধ্যে তিনি আসতেন এবং খোঁজ নিতেন। দিন দশেক আগে এসে টাকা পয়সাও দিয়ে গিয়েছিলেন। আজ ঘটনাস্থলে প্রথমে পৌঁছায় চ্যাটার্জীহাট থানার পুলিস। ঘটনার প্রাথমিক তদন্ত শেষে পুলিশের অনুমান যে দেহটি বেশ কয়দিন আগে থেকেই সেখানে পড়ে রয়েছে।অসুস্থতার কারনেই মৃত্যু বলে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
পুলিসের তরফ থেকে এই অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মৃতদেহও ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে কিন্তু এখনও মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে পারা যায়নি। ওই বৃদ্ধার মেয়েকে পাঠানো হয়েছে রিহ্যাব সেন্টারে। সুস্থ হবার পর আত্মীয়দের কাছে পাঠানোর চেষ্টা করা হবে বলে জানানো হয়েছে পুলিশ সূত্র থেকে।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)