মানিকতলা এক নাগরিক দ্রুত নির্বাচন চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। হাইকোর্টে মামলা খারিজ হলে তিনি সুপ্রিম কোর্টে যান। সুপ্রিম কোর্ট হলফনামা দিতে বলে নির্বাচন কমিশনকে। পরবর্তীকালে বাধ্য হয়ে মামলা প্রত্যাহার করে নেন সেবারের পরাজিত বিজেপি প্রার্থী কল্যাণ চৌবে। তাঁকেই এবারও প্রার্থী করে বিজেপি।
তবে এদিন সকাল থেকেই একাধিক জায়গায় বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় বিজেপি প্রার্থীকে। বিষয়টি নিয়ে কুণাল ঘোষ বলেন, ‘২০২১-এ হারার পর ৩ বছর এলাকায় নেই; মামলা করে উপনির্বাচনে বাধা; সাধনবাবুর মৃত্যুর পরেও ভোট আটকে পরিষেবায় বঞ্চনা। সুপ্রিম কোর্টের বকুনিতে মামলা তোলা, এতদিন পর আবার প্রার্থী হয়ে হাজির; তাতেই মানিকতলার কিছু মানুষের ক্ষোভের মুখে। নাটক করলে হবে?’
মানিকতলা কেন্দ্রের নির্বাচন নিয়ে কুণাল বলেন, ‘বিজেপি পায়ে পা দিয়ে ঝগড়া করার চেষ্টা করেছে, যাতে ভোটের পড়ে ছুতো তৈরি করা যায়। তৃণমূল কংগ্রেস উন্নয়নের ইস্যুতে উপর দাঁড়িয়ে ভোটে লড়ছে। তাই তাঁদের গোলমালের কোনও দরকার নেই।’ এদিকে, বেলা গড়াতেই ফুলবাগান থানার সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করতে শুরু করে বিজেপি। বিজেপির উত্তর কলকাতার সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তমোঘ্ন ঘোষ বলেন, ‘পুলিশ নির্লজ্জ ভাবে তৃণমূলকে ভোটে সাহায্য করেছে। পাড়ায় পাড়ায় ওদের গুণ্ডাবাহিনী ঘুরে বেরিয়েছে।’
রাজ্যের চারটি কেন্দ্রে উপনির্বাচন সম্পন্ন হয় বুধবার। মানিকতলা ছাড়াও রানাঘাট দক্ষিণ, বাগদা এবং রায়গঞ্জ কেন্দ্রে উপনির্বাচন ছিল। মোটের উপর শান্তিপূর্ণ ভাবেই এদিন ভোট হয়েছে বলে জানানো হয়েছে নির্বাচন কমিশনের তরফে। মানিকতলা কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী করেছিল প্রয়াত সাধন পাণ্ডের স্ত্রী সুপ্তি পাণ্ডেকে। শেষ হাসি কি হাসবেন তিনি? বোঝা যাবে শনিবার।