এই বছর সেই মেলায় নদিয়ার হাঁসখালির বগুলা থেকে এসেছে একটি পুতুল নাচের দল। ইতিমধ্যেই পুতুল নাচের আসরও শুরু হয়ে গিয়েছে। রীতিমতো প্যান্ডেল করে দেখান হচ্ছে পুতুল নাচ। আর তাড়িয়ে তাড়িয়ে তা উপভোগ করছে গ্রামের প্রবীণ থেকে নবীন সকলেই।
এই বিষয়ে গ্রামের বাসিন্দা প্রীতম মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘অনেকদিন পর পুতুল নাচ দেখলাম, বেশ ভালো লাগল। এখন গ্রামাঞ্চলে আর এসব দেখা যায় না। দেখতে দেখতে মনে হচ্ছিল ছেলেবেলায় ফিরে গিয়েছি। আগে মায়ের হাত ধরে মেলায় যেতাম। সেই সময় দু একবার পুতুল নাচ দেখেছি। পুরনো দিনের পৌরাণিক কাহিনী পুতুল নাচের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়, যা এক কথায় দারুণ।’
এদিকে শিল্পী বিকাশ সরকার বলেন, ‘আগের মতো এখন আর পুতুল নাচের সেভাবে চাহিদা নেই। সময় বদলে গিয়েছে, ঘরে ঘরে টিভি মোবাইলে মানুষ ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। তবে আমাদের পুতুল নাচের দল এখনো আমরা টিকিয়ে রেখেছি। আমাদের পরের প্রজন্ম কেউ আর তৈরি হচ্ছে না। আগামী দিনে এই দলও টিকিয়ে রাখা যাবে না। বিভিন্ন রাজ্যে ও জেলায় পুতুল নাচের ডাক পড়ে। তবে আগের থেকে তা তুলনায় অনেক কমেছে। সরকারি সাহায্য বলতে শিল্পী ভাতা পাই। তবে এই শিল্প আর কদিন থাকবে সেটাই এখন দেখার।’
অন্যদিকে দাঁ পরিবারের সদস্য পার্থ দাঁ বলেন, ‘পুতুল নাচ বৈঁচিগ্রামের রথযাত্রার একটা ঐতিহ্য। গ্রামের প্রচুর মানুষ আসে এই রথযাত্রায়। বহু বছর ধরেই এই মেলায় পুতুল নাচ হয়ে আসছে। আগে কাঠের পুতুল নাচ হত, কিন্তু অনেক ব্যয় সাপেক্ষ হওয়ায় এখন তারের পুতুল নাচ হয়।’ তবে এটা ঠিক, এই পুতুল নাচকে কেন্দ্র করে শৈশবে ফিরে যাওয়ার সুযোগ পান গ্রামের বয়স্করা। আবার নতুন প্রজন্মও পরিচিত হতে পারে এই শিল্পের সঙ্গে।