South Dinajpur School : মিড ডে মিলের লাইনে দাঁড়িয়ে পড়ুয়ার মৃত্যু! স্কুলে তাণ্ডব, মারধর শিক্ষকদের – south dinajpur student expired at mid day meal queue creates chaos at school


মিড ডে মিলের লাইন দাঁড়িয়ে মৃত্যু স্কুল পড়ুয়ার। মর্মান্তিক ঘটনা দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুশমণ্ডি এলাকায়। মৃত নাবালক ছাত্র ষষ্ঠ শ্রেণির পড়ুয়া। স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ স্থানীয়দের। প্রধান শিক্ষককে মারধর করার অভিযোগ। স্কুল চত্বরে মোতায়েন করা হয় প্রচুর পুলিশ বাহিনী।স্কুল চলাকালীন এক ছাত্রের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুশমণ্ডি কচড়া হাই স্কুল। মৃত নাবালক ষষ্ঠ শ্রেণির পড়ুয়া ছিল। অভিযোগ, অসুস্থ হওয়ার পরও ছাত্রকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় নি। যার জন্যই ওই ছাত্রের মৃত্যু হয়। তারপরেই স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ফেটে পড়েন মৃতের পরিবার ও গ্রামবাসীরা। শিক্ষকদের স্কুলে আটকে রেখে চলে বিক্ষোভ।

পুলিশ সূত্রে খবর, স্কুলে ঢুকে কার্যত তাণ্ডব চালায় গ্রামবাসীরা। অন্যান্য শিক্ষকের পাশাপাশি মারধর করা হয় প্রধান শিক্ষককেও। স্কুলের বেশ কিছু স্কুল-শিক্ষকের মোটরবাইকেও আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। গ্রামবাসীর বিক্ষোভ সামাল দিতে কার্যত হিমশিম খেতে হয় পুলিশকে। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হওয়ায় এলাকায় প্রচুর পরিমাণে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

স্কুলের প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘দুপুর বেলা খাবারের লাইনে দাঁড়িয়েছিল পড়ুয়ারা। কিছুক্ষণ পর ওই বাচ্চাটি হঠাৎ অসুস্থ হয়। ঘটনার দু’-তিন মিনিটের মধ্যে অভিভাবক এসে পৌঁছে যান। আমরা ছাত্রের মাথায় জল দিই। তার প্রাথমিক চিকিৎসা করি। আমাদের কোনও ভুল ছিল না। এরপরেও স্কুলে তাণ্ডব চালানো হল।’

অসুস্থ পড়ুয়াকে প্রথমে ইটাহার গ্ৰামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করে স্কুল কর্তৃপক্ষ। কর্তব্যরত চিকিৎসক পড়ুয়াকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে এরপরেই গাফিলতির অভিযোগ তোলে ওই শিশুর পরিবার। স্কুলের সামনে জড়ো হয় এলাকাবাসী। এরপরেই শুরু হয় চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলা। পুলিশ জানিয়েছে, বাচ্চাটির দেহ ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হচ্ছে। এরপরেই বোঝা যাবে কী কারণে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে।

সৈনিক স্কুলে শিক্ষক-অশিক্ষকের চাকরি, কী ভাবে করবেন আবেদন?
স্কুলের এক পড়ুয়ার কথায়, ‘ছেলেটা হঠাৎ করে মিড ডে মিলের লাইনে দাঁড়িয়ে অসুস্থ হয়ে গিয়েছিল। আমরা ধরাধরি করে স্কুলের অফিস ঘরে নিয়ে যাই। মাথায় জল দিই। স্যারের বারবার বলছিলেন ওকে বাড়িতে নিয়ে যাও। বাড়ির লোককে খবর দাও। কিন্তু, বাড়ির লোক আসতে আসতে অনেকটা সময় চলে গিয়েছে।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *