Mob Lynching At Bardhaman : ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনি, নাবালিকা সহ দু’জনকে মারধরের অভিযোগ বর্ধমানে – mob lynching incident took place at bardhaman city


ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনির অভিযোগ। নাবালিকা-সহ দু’জনকে মারধর করার অভিযোগ এবার বর্ধমানে। ঘটনাস্থল থেকে তাঁদের উদ্ধার পুলিশ। এলাকায় অপরিচিত মুখ দেখেই তাঁদের ছেলেধরা সন্দেহে গণপ্রহার করা হয় বলে স্থানীয়দের দাবি।বর্ধমানের শহরের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের খাঁ পাড়া এলাকায় পাঁচজনকে এলাকায় ঘুরপাক খেতে দেখা যায়। এরা প্রত্যেকেই অপরিচিত মুখ বলে দাবি স্থানীয়দের। স্থানীয় একটি বাচ্চার সঙ্গে এঁদের কথা বলতে দেখেন স্থানীয়রা। এরপরেই কয়েকজনের সন্দেহ হয়। শিশু চোর সন্দেহে এরপরেই তাদেরকে মারধর শুরু করে স্থানীয় মানুষজন।

স্থানীয়দের অভিযোগ, এদেরকে পরিচয় জিজ্ঞাসা করতেই তাঁরা পালাবার চেষ্টা করে। স্থানীয়রা তাদের ধাওয়া করে তৈলমারুই পাড়া এলাকায় দু’জনকে ধরে ফেলে এবং তাদের ছেলেধরা সন্দেহে মারধর করা হয়। ঘটনার খবর পেয়ে বর্ধমান থানার পুলিশ পৌঁছে দুজনকে উদ্ধার করে। যদিও অভিযুক্তদের দাবি, তারা ওই এলাকার ভিক্ষা করতে এসেছিল। স্থানীয়রা তাদের ছেলেধরা সন্দেহে মারধর করেছে।

ঘটনা প্রসঙ্গে জেলা পুলিশ সুপার আমন দীপ বলেন, ‘বর্ধমান থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নাবালিকা-সহ দু’জনকে উদ্ধার করেছে।’ তাঁর কথায়, ‘বার বার এলাকায় এলাকায় সচেতনতামূলক প্রচার করা হচ্ছে পুলিশ-প্রশাসনের তরফে। তবুও এ রকম ঘটনা বন্ধ করা যাচ্ছে না! আমরা আরও বেশি প্রচারে জোর দেব।’

তিনি জানান, পুলিশ চিহ্নিত করেছে কারা এই মারধরের ঘটনার সঙ্গে যুক্ত। তাদের বিরুদ্ধে আইনিনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুলিশ সুপার বলেন, ‘আমি জনগণকে একটা বার্তা দিতে চাই এরকম গুজব আপনারা ছড়াবেন না, আইনকে নিজের হাতে নেবেন না, যদি নেন পুলিশ আপনাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। অনেক জায়গায় এরকম গুজব ছড়াচ্ছে যার জন্য এরকম ঘটনা ঘটেছে, পরে পাওয়া যাচ্ছে এরকম কোনও ঘটনা নেই।’

নিষ্ঠুর বর্বরতার কারখানা যেন জায়ান্টের ক্লাব!
অন্যদিকে, আক্রান্তদের এক জন কানাই দেব বলেন, ‘‘ওই এলাকার ভিক্ষা করতে গিয়েছিলাম। স্থানীয়েরা ঘিরে ধরল। কী করব কিছু বুঝতে পারিনি। ছেলেধরা সন্দেহে মারধরশুরু করে দিল।’ এই ঘটনায় আটক বা গ্রেফতারির কোনও খবর এখনও মেলেনি। পুলিশ তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে। প্রসঙ্গত, বারাসত, অশোকনগর, খড়দা, বনগাঁর পর পূর্ব বর্ধমান জেলায় ছেলেধরা সন্দেহে এক যুবককে মারধর করার অভিযোগ ওঠে গত জুন মাসে। মেমারি থানার কুচুট এলাকায় ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। গত কয়েকদিনে ছেলেধরা সন্দেহে এই মারধর তথা গণপিটুনির ঘটনায় রীতিমত আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে রাজ্য জুড়ে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *