Prevent Dengue,বাড়ছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা, সতর্ক স্বাস্থ্য দপ্তর – west bengal health officials meeting in asansol and durgapur to prevent dengue


এই সময়, আসানসোল: গ্রীষ্ম শেষ হলে বর্ষার হাত ধরে শুরু হয় ডেঙ্গির প্রকোপ। গত দু’সপ্তাহে পশ্চিম বর্ধমানে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে। এখনও পর্যন্ত জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা মারাত্মক না হলেও সতর্ক রয়েছে স্বাস্থ্য দপ্তর। ডেঙ্গি নিয়ে আসানসোল ও দুর্গাপুরে ইতিমধ্যে দু’টি মিটিং হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ইউনুস খান। জেলাশাসকের সঙ্গে আরও একটি বৈঠকের কথা রয়েছে সামনে।আসানসোল পুর এলাকাতেই ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বেশি, ১২ জন। পুরসভার স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে এর মধ্যে বৃহস্পতিবার আক্রান্ত হয়েছেন তিন জন। দুর্গাপুর পুর এলাকায় ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন ৩ জন। এছাড়া পশ্চিম বর্ধমানে সালানপুর, কাঁকসা, ফরিদপুর-দুর্গাপুর ও রানিগঞ্জে ১ জন করে আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক।

আসানসোল পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান চিকিৎসক দীপক গঙ্গোপাধ্যায় জানান, আক্রান্তদের বেশ কয়েকজন বাইরে থেকে এসেছেন। আসানসোলের বাসিন্দা চেন্নাইয়ে কর্মরত রাজমিস্ত্রি ও বেঙ্গালুরুতে পড়াশোনা করা এক ছাত্রী ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে এখানে এসেছিলেন। তাঁদের হাসপাতালেও ভর্তি করা হয়েছিল।

তিনি বলেন, ‘এবার আমরা আমাদের আর্বান প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসকদের বলেছি, তাঁদের এলাকায় বাড়ি, দোকানে লার্ভা জমেছে কিনা তা খোঁজ নিয়ে দেখতে। খোঁজ পাওয়া গেলে তা নষ্ট করতে হবে। বার্নপুরের নবঘণ্টি, আসানসোলের হটন রোড, ইসমাইল সমেত বাজারের বেশ কিছু এলাকা, কুলটির দিশেরগড়ের মতো এলাকায় ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগীর খোঁজ মিলেছে।’

ডেঙ্গি রুখতে জমির আবর্জনা পরিষ্কারের নির্দেশ প্রশাসনের

নিয়ম করে খাটাল, টায়ারে জমা জল, বাড়ির ছাদে ভাঙা হাড়ি, টব নিয়মিত পরিষ্কার রাখার বার্তা দিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রতিদিন গড়ে আমরা ২৫ থেকে ৩০ জনের রক্ত পরীক্ষা করছি।’ ডেঙ্গি প্রতিরোধে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বলেন, ‘পুর এলাকা ও ব্লকগুলোতে ডেঙ্গির প্রকোপ বড় সড় আকার না নিলেও সতর্ক ও সজাগ রয়েছে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর। ডেঙ্গি মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে এই রোগ নিয়ে সচেতন করছেন জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্মীরা। নজরদারি চলছে শহর ও গ্রামে। ডেঙ্গির উপসর্গ পেলেই দুই এলাকার স্বাস্থ্যকর্মীরা চিকিৎসার ব্যবস্থা করছেন।’

ইতিমধ্যে জেলার দুই মহকুমা আসানসোল ও দুর্গাপুরে স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে দু’টি বৈঠক করা হয়েছে। ডেঙ্গি নিয়ে রাজ্যের নির্দেশিকা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে প্রত্যেককে। কোথাও জলে জমে আছে কিনা তার খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। পরিত্যক্ত বাড়ি ও নির্মীয়মাণ বাড়ি, ভাঙা গাড়ির যন্ত্রাংশ বা ফেলে রাখা টায়ারে জল জমে রয়েছে কিনা তা দেখা হচ্ছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *