কোন্নগর ফেরিঘাট নৌকা পারের এক নৌকা চালক জলে মেছো কুমিরের ভেসে বেড়ানোর দাবি করেছেন। নিজের ফোনে কুমির আসার ভিডিয়ো রেকর্ডিং করে থাকেন বলেও দাবি করেছেন তিনি। তিনি দাবি করছেন, একবার একসঙ্গে দুটি মেছো কুমিরকে জলে ভাসতে দেখেছেন। যাদের দৈর্ঘ্য কম করে দশ ফুটের থেকেও বেশি। তাই দেখে চোখ কপালে উঠেছিল যাত্রীদের। তাঁর দাবি, বিগত বছর কয়েকের মধ্যেই এই মেছো কুমিরের এত উপদ্রব বেড়েছে গঙ্গায়। মানুষজন ভয় পাচ্ছে গঙ্গায় চান করতে নামতে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বন দফতর থেকে কিছু একটা ব্যবস্থা করা হোক বিষয়টি নিয়ে। মানুষের মনে ভয় সৃষ্টি হচ্ছে। প্রশাসন বা পুরসভা কোন কেউই এই বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছে না বলে দাবি স্থানীয়দের। যদি এর উপরে পদক্ষেপ নেওয়া হয় তাহলে স্থানীয় মানুষজন যে আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন তারা গঙ্গায় চান করতে নামতে পারছেন না গঙ্গার ঘাটে আসতে পারছেন না। তা দূর হবে।
কোন্নগর পুরসভার চেয়ারম্যান স্বপন দাস জানান, এগুলি কুমির কিনা সেটা নিশ্চিত নয়। ঘরিয়াল হতে পারে। মানুষ কুমির ভাবতে পারে। গঙ্গা তো পোর্ট ট্রাস্টের অধীনে পড়ে। আমরা বিষয়টি বন্দর কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। তাঁরা নিশ্চয় কিছু ব্যবস্থা নেবেন। আমরাও আমাদের তরফে কিছু করণীয় থাকলে করব। মানুষের আতঙ্কে পড়ার কিছু নেই। অন্যদিকে, উত্তরপাড়া পুরসভার চেয়ারম্যান দিলীপ যাদব, আমরা এ বিষয়ে এখনও কিছু জানি না, খোঁজ নিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেব।