Jhargram School : স্কুলে ‘দাদাগিরি’, ষষ্ঠ শ্রেণির পড়ুয়াকে বেধড়ক মারধর, চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঝাড়গ্রামে – jhargram school class vi student allegedly beaten by some seniors


স্কুলে তখন টিফিন টাইম। নিজের টিফিন খাচ্ছিল ষষ্ঠ শ্রেণির এক পড়ুয়া। হঠাৎই দ্বাদশ শ্রেণির তিন পড়ুয়া ক্লাসে ঢুকে বেধড়ক মারধর করে ষষ্ঠ শ্রেণির পড়ুয়াকে। গুরুতর আহত অবস্থায় ষষ্ঠ শ্রেণির পড়ুয়াকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঝাড়গ্রামের স্কুলে।শুক্রবার দুপুরে স্কুলে টিফিনের সময় ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়গ্রাম শহরের ননীবালা বিদ্যালয়ে। ষষ্ঠ শ্রেণির পড়ুয়াকে মারধরের ঘটনার জেরে অসুস্থ হয়ে সে বর্তমানে ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি। এই ঘটনায় স্কুল ও এলাকার চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। অসুস্থ ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র। তার আদি বাড়ি বিনপুর থানার অন্তর্গত আঁধারিয়া গ্রামে হলেও বর্তমানে সে ও তার বাবা-মা মিলে শহরের হাউসিং কমপ্লেক্সের কাছে থাকে।

ঘটনায় অভিযুক্ত ছাত্র অভিজিৎ মণ্ডল, ওয়াসীম মীর, হেমন্ত মাহাতো স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কাছে মারধরের ঘটনা স্বীকার করেছে। ঘটনার পর স্কুলের এক শিক্ষক প্রধান শিক্ষকের কাছে চারজন ছাত্রকে নিয়ে আসে। স্কুলের প্রধান শিক্ষক ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রের বাবাকে ফোন করে বিষয়টি জানান এবং স্কুলে আসতে বলেন। পাঁচ মিনিটের মধ্যে স্কুলে আসেন ছাত্রের বাবা দীপক নায়েক ও মা রুমা নায়েক। ছাত্রের বাবা-মা এসে দেখেন বাচ্চা স্কুলের মধ্যে ঝিমোচ্ছে। তাঁরা সঙ্গে সঙ্গে স্কুল থেকে ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে আসেন। সেখানে জরুরি বিভাগে চিকিৎসক দেখে আহত পড়ুয়াকে ভর্তি করতে বলেন।

ছাত্রের বাবা দীপক নায়েক বলেন, ‘কী কারণে ঘটনাটি ঘটেছে তা আমার জানা নেই। কিন্তু স্কুল কর্তৃপক্ষ কেন আগে হাসপাতালে নিয়ে এলেন না? আমাকে হাসপাতালে নিয়ে আসার পরও ফোন করতে পারতেন। কারণ এর মাঝে যদি কোনও দুর্ঘটনা ঘটে যেত তাহলে কী হত?’ ছেলের শারীরিক অবস্থা দেখেই আমি পরবর্তী পদক্ষেপ নেব বলে জানান পড়ুয়ার বাবা।

Jhargram School : মেঝেতে হঠাৎ ধস, ভেঙে ঢুকে গেল পড়ুয়ারা! ভয়ঙ্কর ঘটনা ঝাড়গ্রামের স্কুলে
স্কুলের প্রধান শিক্ষক মুক্তিপদ বিশুই হাসপাতালে নিয়ে না আসার কথা স্বীকার করেই জানান, ছাত্রদের কাছ থেকে যেটা জানতে পেরেছি, নিচে দ্বাদশ শ্রেণির ক্লাস হয়। সেখান থেকে তিনজন ছাত্র গিয়ে রুমের মধ্যে মারধর করেছে। ঘটনায় অভিযুক্ত ছাত্রদের অভিভাবকদের ডাকা হয়েছিল। জরুরি ভিত্তিতে আমি স্টাফ কাউন্সিলের মিটিং করেছি। আগামী অভিভাবকদের সঙ্গে আলোচনা করে অভিযুক্ত ছাত্রদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ছাত্রটি বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *