তাঁর কথায়, লোকসভা নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী এখানে সভা করতে এসে মানুষকে ভুল বুঝিয়েছিলেন। জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি করে দেন। তিনি বলেন, ‘লোকসভা নির্বাচনে মানুষ কিছুটা বিভ্রান্ত হয়ে বিজেপিকে ভোট দিয়েছে। কিন্তু, এবার মানুষ বুঝে গিয়েছে, উন্নয়নের পাশে থাকার দরকার রয়েছে। সেই কারণে এই জনাদেশ দিয়েছে।’
২০২১ সালে এই কেন্দ্র থেকে বিজেপির টিকিটে দাঁড়িয়েছিলেন কৃষ্ণ। জিতেওছিলেন তিনি। বিধানসভা নির্বাচনের কয়েক মাস পর তিনি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন। এরপর গত লোকসভা নির্বাচনে তাঁকে তৃণমূল কংগ্রেস রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্র থেকে লড়াইয়ের জন্য পাঠায়। যদিও, হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর শেষ পর্যন্ত এই কেন্দ্রে লোকসভা নির্বাচনে জয়ী হন বিজেপি প্রার্থী কার্তিক চন্দ্র পাল। জয়ের ব্যবধান ছিল ৬৮, ১৯৭। লোকসভা নির্বাচন অনুযায়ী রায়গঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে বহু ভোটে পিছিয়ে ছিলেন কৃষ্ণ কল্যাণী।
অন্যদিকে, বিজেপি প্রার্থী মানস ঘোষ বলেন, ‘গ্রামে গ্রামে গিয়ে ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে যেতে দেওয়া হয়নি। পুলিশ প্রশাসনকে ব্যবহার করে ভোটে এরা কারচুপি করেছে। আগে ছাপ্পা পুরসভা প্রধান, ছাপ্পা পঞ্চায়েত ছিল, এবার রায়গঞ্জে ছাপ্পা বিধায়ক হল।’
উল্লেখ্য, রাজ্যে এই প্রথম রায়গঞ্জ কেন্দ্রটি জিতল তৃণমূল কংগ্রেস। দেশে নির্বাচিনী প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর থেকে এই কেন্দ্রে বাম এবং কংগ্রেস প্রার্থীরা জিতে এসেছেন। রাজ্যে পালাবদলের পরেও ২০১১ এবং ২০১৬ সালে এই কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছিলেন কংগ্রেস প্রার্থী। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে বিজেপির টিকিটে জয়ী হন কৃষ্ণ কল্যাণী। এই প্রথম উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ কেন্দ্রটি জিতে নিল তৃণমূল কংগ্রেস।