মঞ্চ থেকে সুকান্ত মজুমদার নেমে আসতেই তাঁকে ঘিরে ধরেন কয়েকজন বিজেপির কার্যকর্তা। তাঁরা অভিযোগ জানাতে থাকেন, মণ্ডল সভাপতিরা ঠিক মত কাজ করে না। লোকসভা ভোটে দেখা গিয়েছে, তৃণমূলের সঙ্গে তাঁরা মিলে রয়েছে। এভাবে সংগঠন চলতে পারে না। জেলা সভাপতিকে জানিও কোন ফল হয় না বলে দাবি বিক্ষুব্ধ কর্মীদের। রাজ্য সভাপতিকে সামনে পেয়ে ক্ষোভ উগরে দেন। কর্মীরা। যদিও সকলকেই বিজেপি রাজ্য সভাপতি আশ্বস্ত করেন।
সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে। তবে সেটা বিরিয়ানির মশলার মতো। বিরিয়ানির চাল আর মাংস দলের কর্মীদেরই হতে হবে। তবেই ভালো বিরিয়ানি হবে।’ হুগলি সাংগঠনিক জেলা বিজেপি সভাপতি তুষার মজুমদার বলেন, ‘যারা অভিযোগ করছে, তাঁরা দলটা ঠিক মতো করে না। কারও যদি কোনও অভিযোগ থাকে, সে দিল্লিতে জানালে হবে না জেলা সভাপতিকে জানাতে হবে। হেরে গেলে অনেক কথা হয় জিতে গেলে হবে। আমাদের ভুল-ত্রুটিগুলো শুধরে নিয়ে এগোতে হবে। আমরা একসঙ্গে সমন্বয় বৈঠক করব কয়েকদিনের মধ্যেই।’
হুগলি জেলার তৃণমূলের সম্পাদক অসিত চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘বিজেপি যেভাবে অন্তর্দ্বন্দ্বে জর্জরিত হয়ে গিয়েছে। ২০২৬ সাল পর্যন্ত তাদের দল থাকবে কিনা সন্দেহ আছে। গতকাল উপ নির্বাচনের ফলেই বোঝা যাচ্ছে বিজেপিকে ভারতেও কেউ চাইছে না। প্রয়োজনীয় জিনিসের যে মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে, মানুষ সমস্যায় আছে।’ লোকসভা নির্বাচনে হুগলি জেলায় পাণ্ডুয়ায় বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায় ২৫ হাজারের বেশি ভোটে হেরেছেন। এবার সংগঠন মজুবত করতে রাজ্য নেতৃত্ব কী করবে, সেটাই দেখার অপেক্ষায় স্থানীয় নেতৃত্বরা।