Fraud Case,মেডিক্যাল পলিসির নামে ৩৩ লক্ষ প্রতারণা – medical policy scam 33 lakhs rupees fraud in howrah


এই সময়, হাওড়া: বেসরকারি ব্যাঙ্কের নাম করে ফোন, তার র মেডিক্যাল পলিসি করানোর নামে প্রায় ৩৩ লক্ষ টাকা হাতিয়েছিল প্রতারকরা। তা বুঝতে পেরে প্রতারিত ব্যক্তি সাইবার সেলে অভিযোগ দায়ের করেন। এর পরেই তদন্ত শুরু করে পুলিশ। শনিবার হাওড়ার শিবপুর পুলিশ লাইনে রাজ্য পুলিশের সাইবার সেল, সাউথ জোনের ডিআইজি অঞ্জলি সিং এক সাংবাদিক সম্মেলনে জানান, হাওড়ার এক ব্যবসায়ীর খোয়া যাওয়া ৩৩ লক্ষ ১৭ হাজার টাকার মামলায় পুলিশ দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে।উদ্ধার হয়েছে ৩ লক্ষেরও বেশি টাকা। তা ছাড়া সাইবার ক্রাইম রুখতে নিউ টাউনে তৈরি হয়েছে নতুন সাইবার সেল উইং। যেটি বিভিন্ন জেলার সাইবার সেলের সঙ্গে যৌথ ভাবে তদন্ত করছে। তবে সাইবার ক্রাইম নিয়ে সচেতন করতে এ দিন অঞ্জলি সিংহ বলেন, ‘অপরাধীরা অপরাধের ধরন বদলেছে। এখন বিভিন্ন ধরনের সাইবার ক্রাইমের মাধ্যমে মানুষের টাকা হাতাচ্ছে। যাতে তাদের ফাঁদে সাধারণ মানুষ না পড়েন তার জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে একটি হেল্প লাইন খোলা হয়েছে। যার নম্বর ১৯৩০।

যদি প্রতারণার শিকার কেউ হন, তখন সঙ্গে সঙ্গে এই ফোন নম্বরে ফোন করলে পুলিশের পক্ষ থেকে ব্যাঙ্কে খবর দিয়ে গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘যত তাড়াতাড়ি পুলিশ খবর পাবে তত তাড়াতাড়ি ওই অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া সম্ভব হবে এবং খোয়া যাওয়া টাকা দ্রুত উদ্ধার সম্ভব হবে।’

এ দিন তিনি ব্যাঙ্কের গ্রাহকদের কোনও ব্যক্তিগত তথ্য মোবাইলে শেয়ার করতে বারণ করেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছর নভেম্বরে হাওড়ার চ্যাটার্জিহাট থানার ব্যবসায়ী মানসকুমার দাসের কাছে একটি মেল আসে। এক বেসরকারি ব্যাঙ্কের মেডিক্যাল কেয়ার পলিসির নামে তাঁকে স্বাস্থ্যবিমা করার জন্য চিঠি পাঠানো হয়। এর পর ওই ভুয়ো কোম্পানি থেকে বেশ কয়েকবার ফোন আসে।

মানস তাঁদের প্রস্তাবে রাজি হলে তাঁকে স্বাস্থ্যবিমার সুবিধার জন্য মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করা হয়। এরপর তিনি তাঁদের দেওয়া তিনটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে তিন মাসের মধ্যে মোট ৩৩,৩০৮৬ টাকা পাঠান। আরও বেশি টাকা দাবি করা হলে মানস বুঝতে পারেন তিনি প্রতারণার ফাঁদে পড়েছেন। গত ১০ ফেব্রুয়ারি হাওড়ার চ্যাটার্জিহাট থানায় তিনি অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশের পক্ষ থেকে সাইবার প্রতারণার মামলা শুরু হয়।

শনিবার অঞ্জলি সিংহ জানিয়েছেন, আগেই হাওড়া সিটি পুলিশের সাইবার ক্রাইম সেল এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। পরে এই মামলার তদন্তের ভার নেয় নিউ টাউনের রাজ্য সাইবার সেল উইং। আধিকারিকরা তদন্ত নেমে জানতে পারেন ওই ঘটনার পিছনে নিউ টাউন হাউজিং কমপ্লেক্সের দুই বাসিন্দা সুশীলকুমার জেনা এবং প্রণবকুমার ভোই আছে।

শুক্রবার সন্ধ্যায় তাদের ভাড়া বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের থেকে ৩ লক্ষ ১৭ হাজার টাকা, চারটি মোবাইল, ৩৮টা সিম কার্ড, দু’টি গাড়ি উদ্ধার হয়। পুলিশ জানিয়েছে, প্রতারণার টাকায় ওই গাড়ি দু’টি কেনা হয়েছিল সুশীলের নামে। ধৃতদের বিরুদ্ধে প্রতারণা এবং সাইবার আইনের বিভিন্ন ধারায় পুলিশ মামলা শুরু করেছে। ধৃত দু’জনের সঙ্গে বিহারের জামতাড়া গ্যাং-সহ অন্যান্য আন্তঃরাজ্য অপরাধচক্রের যোগাযোগ আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *