Hoogly Latest News,পেরিয়েছে সময়, বুলডোজার দিয়ে বস্তি উচ্ছেদ করল রেল – rail start eviction work at tarakeswar


এই সময়, তারকেশ্বর: রেলের জায়গা খালি করার নোটিস দেওয়া হয়েছিল আগেই। শনিবার তারকেশ্বর রেল স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় বস্তি উচ্ছেদের জন্য চালানো হলো বুলডোজার। তবে কোনও রকম বিশৃঙ্খলা যাতে না হয় তার জন্য পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করেছিল রেল কর্তৃপক্ষ। এ দিকে, উচ্ছেদের পরেই পুনর্বাসনের দাবিতে তারকেশ্বরের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার অমরেন্দ্রনাথ সামুইয়ের বাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা।তারকেশ্বর রেল স্টেশনকে অমৃত ভারত প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে। আর সেই প্রকল্পের কাজ ইতিমধ্যে শুরুও হয়ে গিয়েছে। তারকেশ্বর স্টেশন সংলগ্ন জায়গা দখল করে যাঁরা বসবাস করছিলেন, তাঁদের এক বছর আগেই নোটিস দিয়েছিল রেল। কিন্তু কেউ ওই জায়গা ছাড়েননি। দিন কয়েক আগে সেই সময় সীমা পেরোয়। তার পরেও সপ্তাহ খানেক আগে নোটিস দেওয়া হয়।

শুক্রবার সেই সময়ও পেরিয়েছে। শনিবারই বুলডোজার দিয়ে জায়গা খালি করল রেল। এ দিকে, বর্ষার সময় মাথা গোঁজার জায়গা হারিয়ে দিশেহারা এলাকার লোকজন। তাঁদের দাবি, বর্ষা পর্যন্ত সময় চেয়েছিলেন বস্তির মানুষ। তাঁদের কথা শুনল না রেল। বস্তিবাসীদের অভিযোগ, পাকা বাড়ি করে যাঁরা থাকছিলেন তাঁদের উচ্ছেদ করা হয়নি। যাঁরা ব্যবসা করছিলেন তাঁদেরও উচ্ছেদ করা হয়নি। অবিলম্বে তাঁদেরও উচ্ছেদ করুক রেল।

রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, নোটিসের সময় সীমা পেরিয়ে যাওয়ায় উচ্ছেদ করা হয়েছে। আগামী দিনে যাঁরা রেলের জায়গা জখল করে থাকছেন কিংবা ব্যবসা করছেন সবাইকেই উচ্ছেদ করা হবে। এ দিন উচ্ছেদের পরেই কাউন্সিলার অমরেন্দ্রনাথের বাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো হয়।

বন্ধ এমএএমসি টাউনশিপে উচ্ছেদের নোটিসে আশঙ্কা

স্থানীয় বাসিন্দা মানসী মালাকার, নাজমা বিবি, মায়া রায় বলেন, ‘আমরা কাউন্সিলারের কাছে জানতে চেয়েছিলাম আমরা কোথায় যাব? আমাদের একটু সাহায্য করুন। কাউন্সিলার বললেন আমি কিছু করতে পারব না।’ কাউন্সিলার অমরেন্দ্রনাথ বলেন, ‘রেলের উন্নয়নে আমরা বাধা হব না। কিন্তু উচ্ছেদ অভিযানে অনেক মানুষ ঘরছাড়া হয়েছেন। বিজেপি একসময় ভোটের রাজনীতি করার জন্য এসেছিল। আজ তাদের আর দেখতে পাচ্ছি না।’

পাল্টা তারকেশ্বর বিধানসভা এলাকার বিজেপি কনভেনার তারকনাথ সাউ বলেন, ‘তৃণমূল কাউন্সিলার যে অভিযোগ করছেন তা সত্যি নয়। আমরা উচ্ছেদের বিপক্ষে। আমরা আজকে রেলের বিষয়টা খতিয়ে দেখে রেলের কাছে পুনর্বাসনের আবেদন করব।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *