শুক্রবার সেই সময়ও পেরিয়েছে। শনিবারই বুলডোজার দিয়ে জায়গা খালি করল রেল। এ দিকে, বর্ষার সময় মাথা গোঁজার জায়গা হারিয়ে দিশেহারা এলাকার লোকজন। তাঁদের দাবি, বর্ষা পর্যন্ত সময় চেয়েছিলেন বস্তির মানুষ। তাঁদের কথা শুনল না রেল। বস্তিবাসীদের অভিযোগ, পাকা বাড়ি করে যাঁরা থাকছিলেন তাঁদের উচ্ছেদ করা হয়নি। যাঁরা ব্যবসা করছিলেন তাঁদেরও উচ্ছেদ করা হয়নি। অবিলম্বে তাঁদেরও উচ্ছেদ করুক রেল।
রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, নোটিসের সময় সীমা পেরিয়ে যাওয়ায় উচ্ছেদ করা হয়েছে। আগামী দিনে যাঁরা রেলের জায়গা জখল করে থাকছেন কিংবা ব্যবসা করছেন সবাইকেই উচ্ছেদ করা হবে। এ দিন উচ্ছেদের পরেই কাউন্সিলার অমরেন্দ্রনাথের বাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা মানসী মালাকার, নাজমা বিবি, মায়া রায় বলেন, ‘আমরা কাউন্সিলারের কাছে জানতে চেয়েছিলাম আমরা কোথায় যাব? আমাদের একটু সাহায্য করুন। কাউন্সিলার বললেন আমি কিছু করতে পারব না।’ কাউন্সিলার অমরেন্দ্রনাথ বলেন, ‘রেলের উন্নয়নে আমরা বাধা হব না। কিন্তু উচ্ছেদ অভিযানে অনেক মানুষ ঘরছাড়া হয়েছেন। বিজেপি একসময় ভোটের রাজনীতি করার জন্য এসেছিল। আজ তাদের আর দেখতে পাচ্ছি না।’
পাল্টা তারকেশ্বর বিধানসভা এলাকার বিজেপি কনভেনার তারকনাথ সাউ বলেন, ‘তৃণমূল কাউন্সিলার যে অভিযোগ করছেন তা সত্যি নয়। আমরা উচ্ছেদের বিপক্ষে। আমরা আজকে রেলের বিষয়টা খতিয়ে দেখে রেলের কাছে পুনর্বাসনের আবেদন করব।’