Khanakul:পঞ্চায়েত সমিতি দখল ঘিরে ধুন্ধুমার, দুই গোষ্ঠীর দ্বন্দ্বে ফাটল মহিলা সভাপতির মাথা


দিব্যেন্দু সরকার: পঞ্চায়েত সমিতির দখলকে ঘিরে তৃণমুলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ধুন্ধুমার খানাকুল ১ পঞ্চায়েত সমিতিতে। পঞ্চায়েত সমিতির মহিলা সভাপতির মাথা ফাটিয়ে দেওয়া, বেশ কয়েকজন পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যকে মারধর করা হয়। তৃণমুলের উভয় পক্ষের জমায়েত পঞ্চায়েত সমিতি অফিসের বাইরে। জমায়েত হঠাতে লাঠি উচিয়ে পুলিসের তাড়া-সহ কোনো কিছুই বাদ গেল না এদিন।

আরও পড়ুন-জনসংখ্যা বৃদ্ধিতে দেশের চিন্তা বাড়াচ্ছে দেশের ৫ রাজ্য, দেখে নিন তালিকায় কারা

কিন্তু কেন এই পরিস্থিতি? এলাকাসুত্রে খবর, খানাকুল ১ পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠন তৃণমুল করার পর থেকেই পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ নইমুল হক ওরফে রাঙা গোষ্ঠীর সাথে খানাকুল ১ ব্লক তৃনমুল সভাপতি দীপেন মাইতি গোষ্ঠীর মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। এইসময় দীপেন অনুগামী বেশকয়েকজন কর্মাধ্যক্ষ ও পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য পদত্যাগের ইচ্ছাপ্রকাশ করে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সম্পা মাইতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন। পরিস্থিতিকে ঘিরে পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী কমিটি ভেঙে যাওয়ার পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
 
অন্যদিকে, পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী কমিটি টিকিয়ে রেখে পঞ্চায়েত সমিতিতে নিজের একাধিপত্য ধরে রাখতে মরিয়া নইমুল হক ওরফে রাঙা। বিষয়টিকে কেন্দ্রকরে এদিন খানাকুল ১ পঞ্চায়েত সমিতির মিটিং হলে একটি বৈঠকের আয়োজন করা হয়। বৈঠকে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সম্পা মাইতির মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়। এদিকে পঞ্চায়েত সমিতির বাইরে দুই গোষ্ঠীর কয়েকশো লোক জমায়েত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে বিশাল পুলিস ও র‍্যাফের বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল পঞ্চায়েত সমিতির অফিস চত্বরে। বার বার উত্তেজনা সামাল দিতে যতেষ্ঠ বেগ পেতে হয় পুলিসকে।

রাঙা গোষ্ঠীর হাতে আক্রান্ত হয়ে মিটিং স্থল থেকে বেরিয়ে আসেন এক সদস্য তাপস ঘোষ। তাকেও বেধড়ক মারধর করা হয়। তার পোশাক পরিচ্ছদ ছিঁড়ে দেওয়া হয়। তিনি কাঁদতে কাঁদতে বলেন,পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ম্যাডামকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়। আমাকেও মারধর করা হয়। আর এই ঘটনার মূল দায়ি নইমূল হক ওরফে রাঙা পনের বছর ধরে করে খাচ্ছে। তোলা তুলছে। যদিও ভিতরে কাউকেই ঢুকতে দেওয়া হয়নি। তবে বাইরেই ব্যাপক উত্তেজনা ছিল। তা সামাল দিতে হাজির হন হুগলি গ্রামীন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিস সুপার কৃশানু রায়, আরামবাগ এস ডিপিও সুপ্রভাত চক্রবর্তী, আরামবাগ থানার আই সি রাকেশ সিং। বিশাল পুলিস বাহিনী ও র‍্যাফ নামানো হয়। উভয় পক্ষ কেই এলাকা থেকে হঠিয়ে দেওয়া হয়।

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)





Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *