এদিনের দুর্ঘটনার পরও সাধারণ মানুষের তরফ থেকে ফিরল না কোন হুঁশ। রেলের তরফ থেকেও কোনও অতিরিক্ত আরপিএফ কর্মী বা আলাদাভাবে কোন কড়াকড়ি ব্যবস্থার দেখা নেই। দু-একজন আরপিএফ ঘটনাস্থলে রয়েছেন। যাঁরা নিয়ম ভাঙছেন তাঁদের বিরুদ্ধে আলাদা কোনও ব্যবস্থা নিতে দেখা গেল না। প্রসঙ্গত, গুরুত্বপূর্ণ এই মেইন লাইনে প্রতিদিন শতাধিক ট্রেন চলাচল করে। দূরপাল্লার ট্রেন সহ একাধিক লোকাল ট্রেন রয়েছে। এদিনও রেল গেট ফেলতে রীতিমতো সমস্যার সম্মুখীন হতে হল রেল গেটের দায়িত্বে থাকা গেটম্যানকে। তবে মানুষের সচেতনতার অভাবই এক্ষেত্রে দায়ি বলে জানালেন কর্মরত গেটম্যান।
কর্তব্যরত গেটম্যান অমরনাথ বলেন, ‘বহু সময় সতর্ক করা হলেও তা অগ্রাহ্য করেই ব্যস্ততা দেখিয়ে লাইন পার হয়ে থাকেন বহু মানুষ। কানে হেডফোন দিয়ে বা ফোন ব্যবহার করতে করতে ও অনেকে পার হন বন্ধ থাকা রেলগেট।’ লেভেল ক্রসিং ফাঁকা করেই রেল গেট ফেলা হয়। এরপরেও কাল অসতর্কতার জেরেই এরকম দুর্ঘটনা হয়ে গেল বলেই জমাচ্ছেন তিনি।
সোমবারও দেখা গেল রেলগেট বন্ধ করার সময় সাইকেল আরোহী ও সাধারণ মানুষদের তা অগ্রাহ্য করেই যাতায়াত করতে। ফলে এ ধরনের পদক্ষেপ আগামী দিনে আরও বড় কোনও দুর্ঘটনা ডেকে আনতে পারে বলেই আশঙ্কা সচেতন নাগরিকদের। আগামী দিনের রেল ও স্থানীয় প্রশাসনের তরফ থেকে এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।
বিষয়টি নিয়ে পূর্ব রেলের জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেন, ‘পূর্ব রেল ইতিমধ্যেই লেভেল ক্রসিংয়ে এই সমস্যা দূর করার জন্য রোড আন্ডার পাস তৈরি করার পরিকল্পনা নিয়েছে ইতিমধ্যে। এর জন্য যাত্রীদের অপেক্ষা করতে হবে না। রেল চলাচলও স্বাভাবিক নিয়মে হবে।’ এরকম ২১ – ২২ টি আন্ডার পাস অলরেডি করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।