এদিন দার্জিলিঙে ব্রিজেশের সংবাদ পৌঁছনোর পরেই কান্নায় ভেঙে পড়েন তাঁর মা। থমথমে মুখ বাবারও। যদিও প্রাক্তন সেনা আধিকারিক ভুবনেশ বলেন, ‘ব্রিজেশ ছোটবেলা থেকেই সেনায় যোগ দিতে চেয়েছিল। অল্প বয়স থেকেই মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছিল। আমার ছেলে দেশ রক্ষায় শহিদ হয়েছে। আমার কোনও আক্ষেপ নেই।’ ভুবনেশের মেয়ে নিকিতা অস্ট্রেলিয়ায় সঙ্গীত নিয়ে পড়াশুনো করছেন। এই সংবাদ পেয়ে তিনি বাড়ির উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।
পরিবারের সদস্যরা জানান, ব্রিজেশের জন্ম লেবংয়ে। তিনি প্রাথমিক পড়াশোনা করেন দার্জিলিঙে। বাবা সেনায় কর্মরত ছিলেন। তাই রাজ্যের বাইরেই তিনি পড়াশোনা করেছেন অধিকাংশ সময়। মুম্বইতে উচ্চশিক্ষা শেষ করেন তিনি। সেখানেই বি টেক শেষ করে কম্বাইন্ড ডিফেন্স সার্ভিস পরীক্ষায় বসেন। ২০১৮ সালে তিনি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন এবং ২০১৯ সালে সেনাতে যোগদান করেন।
দু’বছর তিনি ১০ রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের মোতায়েন ছিলেন। এরপর তাঁকে এক্সট্রা রেজিমেন্টাল ডিউটির জন্য ভারতীয় সেনার বিশেষ বিভাগ ১৪৫ আর্মি এয়ার ডিফেন্সের অধীনস্তজম্মু কাশ্মীরের ডোডা সেনা ছাউনিতে বদলি করা হয়। সেখানে ব্রিজেশ থাপা এ- কোম্পানি কমান্ডার ছিলেন।
সূত্রের খবর, চলতি মাসেই তাঁর বাড়ি ফেরার কথা ছিল। দার্জিলিংয়ে লেবংয়ে ব্রিজেশের শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। ব্রিজেশের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। শহিদ জওয়ানদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন তিনি। উল্লেখ্য, চার সেনা জওয়ানের শহিদ হওয়ার খবরে কেন্দ্র সরকারকে নিশানা করেছেন বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। ‘বিজেপি সরকারের ভুল নীতির খেসারত দিচ্ছেন ভারতীয় জওয়ানরা ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা’, এমনটাই দাবি করছেন রাহুল গান্ধী।
