কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনা নিয়ে চিফ কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি জনককুমার গর্গ রেল বোর্ডের কাছে প্রাথমিক যে রিপোর্ট জমা দিয়েছেন তাতে রেলে পরিচালন ব্যবস্থার দিকেই তোলা হয়েছ আঙুল। একই সঙ্গে এর আগেও রেলের দুর্ঘটনায় লোকো পাইলটদের ডিউটি রস্টার ও তাদের বিশ্রাম নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল। সেই সব দিকে লক্ষ্য রেখেই লোকো পাইলটদের বিশ্রামের সুব্যবস্থা করতে আরও উন্নত পরিষেবা চালু করল ভারতীয় রেল। বিভিন্ন ক্ষেত্রে রানিং রুম গুলির পরিকাঠামোর উন্নয়ন করা হয়েছে ইতিমধ্যে। বাদ যায়নি মালদহ টাউন স্টেশনের ক্রু রানিং রুম। এই ক্রু রানিং রুমে ই লোকো পাইলটেরা ডিউটি শেষ করে বিশ্রাম নেন। এতদিন এই রুমগুলিতে আরামের তেমন সুবিধা ছিল না। কিন্তু এবার রেলের তরফে প্রতিটি ট্রু রানিং রুমে শীত তাপ নিয়ন্ত্রিত বিশ্রামাগার তৈরি করা হচ্ছে। আরামদায়ক বিছানা থেকে শুরু করে সমস্ত কিছুই থাকছে এই সমস্ত রুমগুলিতে। এছাড়াও লোকো পাইলটরা যেন মানসিক শান্তি নিতে পারে তার জন্য থাকছে মেড়িটেশন রুম রিডিং রুম। এছাড়াও এবার ভারতীয় রেলের পক্ষ থেকে লোকো পাইলটদের সুবিধার জন্য ট্রেনের ইঞ্জিনে বসানো হচ্ছে টয়লেট। এমনকি ইঞ্জিনে লোকো পাইলটের বসার জায়গাতেও এসি লাগানোর পরিকল্পনা করেছে রেল। রেলের নিয়ম অনুযায়ী প্রতিটি লোকো পাইলট ৮ ঘন্টা করে ডিউটি করেন। তাই তাদের বিশ্রামেরও প্রয়োজন রয়েছে।