এনফোর্সমেন্ট ব্রা়ঞ্চের দাবি, টাস্ক ফোর্স নামার পরে খোলা বাজারে আলুর দাম কয়েকটি জায়গায় ৩২-৩৩ টাকা কিলোতে নেমে গিয়েছে।
মুখ্যসচিব বলেন, ‘কয়েকটি জেলায় বাজার দর কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। কিন্তু বেশিরভাগ জেলায় পরিস্থিতির বিশেষ উন্নতি হয়নি।’ খোলা বাজারে আলুর দাম নিয়েও তিনি প্রশ্ন তোলেন।
জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের বলেন, ‘হিমঘর থেকে কেন বেশি আলু বাজারে আসছে না। আলুর বাজার দর নিয়ন্ত্রণ করতে হিমঘর থেকে আলু যাতে বেশি করে খোলা বাজারে আসে সেদিকে নজর দিন। খোলা বাজারের পাশাপাশি স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে যুক্ত করুন সরকারি দামে আলু বিক্রির জন্য। দেখতে হবে রাজ্যের আলু এখন কোনওভাবেই হিমঘর থেকে ভিন রাজ্যে না যায়।’
পুলিশ সুপার ও কমিশনারদের তাঁর নির্দেশ, ‘এটা আটকাতে প্রয়োজনে আইন প্রয়োগ করুন। খোলা বাজারে আলুর দাম কমলে আবার ভিন রাজ্যে নিয়ে গিয়ে ব্যবসা করুক কোনও আপত্তি নেই।’ পাশাপাশি জেলাশাসকদের তিনি বলেন, ‘কিষাণ বাজার,সুফল বাংলার আউটলেট খোলার ব্যবস্থা করুন। সেখানে মানুষ যেন বাজারের থেকে সস্তায় আলু, সব্জি পায় সেদিকে নজর দিন।’
বেশ কয়েকজন জেলাশাসকের কাছে সুফল বাংলার আউটলেট খোলা নিয়েও রিপোর্ট নেওয়া হয়। কৃষি বিপণন দপ্তর বৈঠকে জানায়, মূল্যবৃদ্ধির মোকাবিলায় সুফল বাংলা জেলাগুলি গত কয়েকদিনে ২৫টি নতুন আউটলেট খুলেছে। এর ফলে তাদের আউটলেটের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৯৩-তে।
এছাড়াও প্রাইমারি এগ্রিকালচার ক্রেডিট সোসাইটি(প্যাক) এবং স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সাহায্যে অস্থায়ী ভিত্তিতে ৫৮টি কাউন্টার খোলা হয়েছে। যেখানে সরকারি দরে আলু এবং কোনও কোনও স্টলে সব্জিও বাজার দরের থেকে কমে বিক্রি করা হচ্ছে। এদিন বিকেলেই পুরো বিষয়টি নিয়ে একটি নির্দেশিকা জারি করেছে নবান্ন।