কোচবিহারের ঘোকসাডাঙায় বাস ডাকাতির কিনারা করল পুলিশ। বাসের মধ্যেই ছিল রুপো। আর তা নিতেই বাসে উঠেছিল দুষ্কৃতীরা, জানাচ্ছে পুলিশ। গত ১ জুলাই কোচবিহার জেলার ঘোকসাডাঙা থানা এলাকায় কৃষ্ণনগরগামী একটি বাসে অস্ত্র নিয়ে ওঠে কয়েকজন দুষ্কৃতী। যাত্রীদের বন্দুক দেখালেও কারও থেকে কোনও কিছু ছিনতাই করা হয়নি। বরং বাস থেকে একটি পার্সেল নিয়ে নেমে যায় দুষ্কৃতীরা। এরপর থেকেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে, কী ছিল ওই পার্সেলে? প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, ওই পার্সেলের মধ্যে ছিল রুপোর বাট। সেই সূত্র ধরেই তদন্ত এগোচ্ছিল পুলিশ।বুধবার কোচবিহারের পুলিশ সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্য এই বাস ডাকাতি নিয়ে একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন। সেখানে তিনি জানান, ওই বাসে ৫ কেজি রুপো ছিল। তা নিতেই দুষ্কৃতীরা বাসে উঠেছিল। পাশাপাশি ডাকাতির ঘটনায় আরও একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানান তিনি। এছাড়াও এক কেজি ৮০০ গ্রাম রুপোর গয়না উদ্ধার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানায়। এই ঘটনায় পুলিশ এখনও পর্যন্ত মোট ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে। আরও কয়েকজন এই ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে বলে সন্দেহ পুলিশের।
ডাকাতির ঘটনার তদন্তে নেমে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যে গাড়িতে করে দুষ্কৃতীরা পালিয়েছিল সেই গাড়ি উদ্ধার করা হয় এবং একজনকে গ্রেফতার করা হয়। ১০ জুলাই আরও ৩ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার পরে পুলিশ গত ১৪ জুলাই সিরাজুল হক নামক আরও একজনকে গ্রেফতার করেছে। তাদের থেকে এখনও পর্যন্ত মোট ১ কেজি ৮০০ গ্রাম রুপোর গয়না উদ্ধার করেছে পুলিশ। জেলা পুলিশ সুপার জানান, ঘটনায় যে অভিযোগ জমা পড়েছে সেখানে মোট পাঁচ কেজি রুপোর গয়নার কথা বলা হয়েছে। তাই বাকি গয়নার জন্য তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
ডাকাতির ঘটনার তদন্তে নেমে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যে গাড়িতে করে দুষ্কৃতীরা পালিয়েছিল সেই গাড়ি উদ্ধার করা হয় এবং একজনকে গ্রেফতার করা হয়। ১০ জুলাই আরও ৩ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার পরে পুলিশ গত ১৪ জুলাই সিরাজুল হক নামক আরও একজনকে গ্রেফতার করেছে। তাদের থেকে এখনও পর্যন্ত মোট ১ কেজি ৮০০ গ্রাম রুপোর গয়না উদ্ধার করেছে পুলিশ। জেলা পুলিশ সুপার জানান, ঘটনায় যে অভিযোগ জমা পড়েছে সেখানে মোট পাঁচ কেজি রুপোর গয়নার কথা বলা হয়েছে। তাই বাকি গয়নার জন্য তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
জানা গিয়েছে, ওই রুপো চুরি করে বিক্রি করতে যাচ্ছিল দুষ্কৃতীরা। যে গাড়িটিতে করে তারা পালিয়েছিল তার রং বদলের চেষ্টা করাও হয়েছিল। কিন্তু, শেষমেশ দুষ্কৃতীরা ধরা পড়ে। এই ডাকাতির ঘটনায় বেসরকারি বাসের চালক আহত হয়েছিলেন। খবর পাওয়ার পরেই তড়িঘড়ি তদন্তে নামে পুলিশ।
এরপরেই ঘনিয়েছিল ‘পার্সেল রহস্য’। কে বা কারা এই ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে? পাশাপাশি ওই পার্সেলে কী ছিল? তা নিয়ে রহস্য ঘনায়। শেষমেশ সেই রহস্যের সমাধান করল পুলিশ।
