Mob Lynching,চোর সন্দেহে একই পরিবারের ৩ জনকে মারধর, কাটা হল চুলও, ডোমজুড়ে গ্রেফতার ৩ – three person allegedly beaten by their number at howrah domjur


চোর সন্দেহে এক পরিবারে ৩ জনকে আটকে রেখে বেধড়ক মারধর এবং তিনজনের চুল কেটে নেওয়ার অভিযোগে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। ঘটনাটি ঘটে হাওড়ার ডোমজুড়ের উত্তর কলোড়াতে। পুলিশ সূত্রে খবর, আক্রান্ত পরিবারের একটি মেয়ে প্রতিবেশী এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করতেন। দিন ২৫ আগে ওই মেয়েটি প্রেমিককে বিয়ে করে পালিয়ে যান। এরপরই ব্যবসায়ীর পরিবারের সন্দেহ হয় যে ওই মেয়েটি যাওয়ার সময় ২০ লক্ষ টাকা নিয়ে পালিয়েছেন।এরপর ১৩ দিন আগে মেয়েটির বাবা, মা এবং দাদাকে নিজেদের কারখানায় ডেকে পাঠায় ওই ব্যবসায়ী পরিবার। সেখানে তাঁদের বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। একইসঙ্গে তাঁদের ওই কারখানায় আটকে রাখা হয়। ৩ জনের মাথার চুল কেটে নেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। আর সেই সমস্ত দৃশ্য মোবাইল ফোনে রেকর্ড করা হয়। দিন কয়েক আগে ভাইরাল হয় সেই সমস্ত ছবি।

আক্রান্ত পরিবারের অভিযোগ শুধু মারধর করা নয়, বাড়ি থেকেও তাড়িয়ে দেওয়া হয় তাদের। গ্রামছাড়া করে দেওয়া হয়। এমনকী গ্রামে ঢুকলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়। হুমকির কারণে ওই পরিবার ঘটনাস্থল থেকে দশ কিলোমিটার দূরে জগদীশপুরে এক দূর সম্পর্কের আত্মীয়র বাড়িতে আশ্রয় নেয়। সেখানে কার্যত অভুক্ত অবস্থায় দিন কাটছিল তাদের। পরে জগদীশপুর ফাঁড়ির পুলিশ খবর পেয়ে ওই পরিবারকে উদ্ধার করে। এরপর আক্রান্ত পরিবারের বয়ান রেকর্ড করে পুলিশ।

এই বিষয়ে হাওড়ার পুলিশ কমিশনার প্রবীণ কুমার ত্রিপাঠি বলেন, ‘এফআইআর-এ নাম থাকা আবুল হাসান লস্কর, ঈশা লস্কর ও শ্যাম লস্করকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্ত চলছে। আরও কেউ যুক্ত থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ এদিকে অভিযুক্ত পরিবারের এক সদস্য সেলিম লস্কর জানান, চুরির ঘটনা ঘটেছিল। তাঁরা নিজেরাই শাসন করে বিষয়টি মিটিয়ে নিতে চেয়েছিলেন। তবে ভাইরাল ভিডিয়োর বিষয়টি ঠিক নয় বলেই দাবি তাঁর। অন্যদিকে এই ঘটনায় লস্কর পরিবার আইন নিজেদের হাতে তুলে নিয়ে ঠিক করেনি বলেই মনে করছে গ্রামবাসীরা। ধৃতদের বৃহস্পতিবার আদালতে পেশ করে পুলিশ।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ঘটে গিয়েছে চোর সন্দেহে হেনস্থা ও মারধরে ঘটনা। কোনও কোনও জায়গায় ঘটে গিয়েছে মৃত্যুও। সেই সমস্ত ঘটনায় বেশকয়েকজনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। আর এবার হাওড়ার ডোমজুড়ে ঘটে গেলে এহেন ঘটনা।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *