Saddam Sardar News,কীভাবে গ্রেপ্তার কুলতলির ‘গুণধর’ সাদ্দাম? জানালেন পুলিশ সুপার – baruipur sp says how they arrested kultali incident main accused saddam sardar


কুলতলি প্রতারণাচক্রের মূল পাণ্ডা সাদ্দাম সর্দারকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। বুধবার কুলতলির চুপড়িঝাড়া এলাকার একটি মাছের ভেড়ির আলা ঘর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃত সাদ্দামের বিরুদ্ধে এর আগেও বেশকিছু অভিযোগ রয়েছে বলে জানান বারুইপুর পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার পলাশচন্দ্র ঢালি। এই চক্রে মোট ১২ থেকে ১৪ জড়িত রয়েছে বলেও জানান পুলিশ সুপার।বারুইপুরের এসপি জানান, চলতি মাসের ১ তারিখে জয়নগর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের হয়। অভিযোগ ছিল, চুল কেনার জন্য ১২ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বিনিময়ে সেই চুল পাওয়া যায়নি। তার প্রেক্ষিতে জয়নগর থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্তে নামে পুলিশ। তদন্তে বেশকিছু নাম উঠে আসে পুলিশের সামনে। তার প্রেক্ষিতে ১৫ দিন ধরে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালান হয়। এরপর ১৫ তারিখ সাদ্দাম সর্দারের হদিশ পাওয় পাওয়া যায়। সেই মতো কুলতলি থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে পুলিশ। এরপরেই সাদ্দামের ভাই সায়রুল ও ওখানকার কিছু মহিলা পুলিশকে বাধা দেয়। তারপর সাইরুল আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে এসে গুলি চালায় ও অনেকে মিলে পুলিশের কাছ থেকে সাদ্দামকে ছাড়িয়ে নিয়ে চলে যায়। সেই ঘটনায় ২ মহিলাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পাশাপাশি আরও একটি অভিযোগ দায়ের হয় ও তার খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়।

পুলিশ সুপার জানান, তদন্তে এদের গোটা গ্যাং রয়েছে বলে জানা যায়। আর শুধু চুল নয়, পুরনো নকল সোনা বিক্রির চক্রও রয়েছে এদের। বিভিন্ন লোককে প্রলোভন দেখিয়ে ডাকা হত। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই টাকা নিয়ে কিছু দিত না। এরপর ১৬ তারিখ একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। শেষে বুধবার রাত ১টা নাগাদ অভিযান চালিয়ে ঠাকুররানি নদীর পাশে একটি ভেড়ির আলা ঘর থেকে গ্রেপ্তার করা হয় সাদ্দাম সর্দারকে। একইসঙ্গে ওই ভেড়ির মালিক মান্নান খানকেও গ্রেপ্তার করা হয়। দু’জনেরই অপরাধের রেকর্ড রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানান পুলিশ সুপার। সইরুল সহ বাকিদের খোঁজেও তল্লাশি চালান হচ্ছে বলে জানায় পুলিশ। ধৃত মান্নান খান নিজেকে সিপিএম সদস্য বলে দাবি করেছে বলেই জানান পুলিশ সুপার। ধৃত সাদ্দামের বিরুদ্ধে গত ১০ বছরে মোট ৭টি অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে বলে জানান এসপি।

মূলত টেকনিক্যাল ও হিউম্যান ইন্টালিজেন্স ব্যবহার করেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে সাদ্দামকে। তার মধ্যে ডাকাতি বা অস্ত্র আইনেও অভিযোগ রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে সাদ্দামকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও তথ্য উঠে আসতে পারে বলেই মনে করছে পুলিশ।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *