Barrackpore Master Plan,জমা জল এবং যানজটের জোড়া সমস্যা সমাধানে হবে মাস্টারপ্ল্যান – barrackpore mp partha bhowmick visit for barrackpore master plan


এই সময়, ব্যারাকপুর: ব্যারাকপুরে জমা জল এবং যানজটের সমস্যা দীর্ঘদিনের। এই দুইয়ের গেরোয় নাকাল হতে স্থানীয় মানুষজনকে। এ বার পূর্ত, সেচ, কেএমডিএ এবং হাইওয়ে ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশনের আধিকারিকদের নিয়ে পরিস্থিতি পর্যালোচনায় আসরে নামলেন ব্যারাকপুরের সাংসদ পার্থ ভৌমিক। সমস্যা সমাধানে মাস্টার প্ল্যান তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।ব্যারাকপুর, মোহনপুর, শিউলি এলাকার জমা জল বের করতে আধুনিক ড্রেনেজ সিস্টেম এবং বারাসত রোড ধরে ব্যারাকপুর সুভাষ কলোনি থেকে ওয়্যারলেস মোড় পর্যন্ত যানজট মেটাতে রাস্তা সম্প্রসারণের ভাবনাচিন্তা শুরু হয়েছে। এ নিয়ে পূর্তমন্ত্রী পুলক রায় এবং পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গেও কথা বলা হবে। তার আগে

বৃহস্পতিবার সকালে পূর্ত, সেচ, কেএমডিএ এবং হাইওয়ে ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশনের আধিকারিকদের নিয়ে ব্যারাকপুরের সাংসদ পার্থ ভৌমিক, বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী, পুরসভার চেয়ারম্যান উত্তম দাস কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ের ওয়্যারলেস মোড় থেকে প্রথমে বারাসাত রোড ধরে নীলগঞ্জ খাল এবং পরে ব্যারাকপুর লালকুঠি পর্যন্ত ঘুরে দেখেন। গোটা পরিকল্পনা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কী কী প্রতিবন্ধকতা রয়েছে তা নিয়ে জেলাশাসক শরদ কুমার দ্বিবেদিকে একটি সার্ভে করার প্রস্তাব দিয়েছেন সাংসদ।

উল্লেখ্য, কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে সম্প্রসারণের ফলে একদিকে যেমন রাস্তা চওড়া হয়েছে, তেমনই কিছু কিছু অংশে রাস্তা উঁচু হওয়ার ফলে রাস্তার দু’ধারের বাসিন্দারা জমা জলের সমস্যায় ভুগছেন। শুধু ব্যারাকপুর পুর এলাকার কিছু ওয়ার্ডই নয়, এক্সপ্রেসওয়ে সংলগ্ন মোহনপুর এবং শিউলি পঞ্চায়েতের কিছু অংশেও একটু বৃষ্টিতে জল দাঁড়িয়ে যাচ্ছে। বৃষ্টি বেশি হলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে।

এ দিন সরেজমিনে ঘুরে দেখার পর ঠিক হয়েছে বারাসত রোডের ধার ঘেঁষে ড্রেনেজ ব্যবস্থাকে আধুনিক করে ব্যারাকপুরের জমা জল ফেলা হবে নোয়াই খালে (নীলগঞ্জ খাল)। পাশাপাশি মোহনপুরের মধ্যে দিয়ে যে নিউ সোনাই খাল গিয়েছে (যার অনেকটাই অবশ্য বুজে গিয়েছে), তা নিয়েও কিছু ভাবনাচিন্তা করা যায় কি না সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

অন্য দিকে, ব্যারাকপুর সুভাষ কলোনি থেকে ওয়্যারলেস মোড় পর্যন্ত বারাসত রোডে নিত্য যানজটে জেরবার হতে হয় যাত্রীদের। যার অন্যতম কারণে বেআইনি দখলদার। ইতিমধ্যে পুরসভার তরফে দখলদার উঠে যাওয়ার যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, সেই সময়সীমা পার হয়েছে বৃহস্পতিবারই। ওই অংশ দখলদার মুক্ত করে রাস্তা সম্প্রসারণের মাধ্যমে যানজট কাটানোর কথা এ দিন শোনা গিয়েছে পার্থ ভৌমিকের গলায়।

Drinking Water : ঘোলাটে পানীয় জল, ক্ষোভ একাধিক পুর এলাকায়, কবে মিটবে সমস্যা?

বেশ কিছু বাড়ি এবং দোকান সরকারি জায়গা দখল করে হয়েছে দেখে বিষয়টি নিয়ে ডিএমকে সার্ভে করার কথা বলেন সাংসদ। তিনি বলেন, ‘ব্যারাকপুরের মূল দু’টি সমস্যার সমাধান কী ভাবে করা যায়, তা নিয়ে এ দিন চারটি দপ্তরের আধিকারিক এবং পুরসভাকে নিয়ে পরিদর্শন করেছি। দপ্তরের আধিকারিকদের মাস্টার প্ল্যান দিতে বলেছি। তা নিয়ে পূর্তমন্ত্রী পুলক রায় এবং পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এ দিন ব্যারাকপুর রাসমণি ঘাটও পরিদর্শনে যান সাংসদ ও বিধায়ক। রাসমণি ঘাট ছাড়াও নৈহাটি বড়মা মন্দির সংলগ্ন গঙ্গার ঘাট এবং হালিশহরের একটি ঘাটের সংস্কারের বিষয়েও তোড়জোড় শুরু হয়েছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *