Illigal Construction,আবাসন গড়তে আদিবাসীদের জমি দখল, ফেরতের প্রক্রিয়া শুরু – alledgly illegal construction is making by forcibly occupying the land of tribals at birbhum


এই সময়, বোলপুর: বীরভূমের পাড়ুই থানার সাত্তোর গ্রাম পঞ্চায়েতের সরপুকুরডাঙায় আবাসন তৈরির সময়ে জোর করে আদিবাসীদের জমি দখল করার অভিযোগ উঠেছিল আগেই। এ বার সেই জমি ফের অধিগ্রহণ করে নথিভুক্ত পাট্টাদারদের হাতে ফেরত দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করল বীরভূম জেলা প্রশাসন। তদন্তে নেমে ভূমি দপ্তর জানতে পেরেছে, প্রায় ৩৭ জনের পাট্টা জমি দখল করে গড়ে উঠেছে ওই আবাসন প্রকল্প৷এই বর্ষায় ওই জমিতে চাষ করার দাবি তুলেছেন জমিহারা আদিবাসীরা৷ সরপুকুরডাঙায় ৫১ বিঘা জমির উপরে প্রায় ২৫০টি কটেজ নির্মাণের জন্য আদিবাসীদের ওই জমি দখল করা হয় বলে অভিযোগ। এর আগে জমি ফেরত পেতে জেলাশাসক, জেলা পরিষদের সভাধিপতি ও ভূমি রাজস্ব দপ্তরে অভিযোগ করেছিলেন আদিবাসীরা৷ আবাসন প্রকল্পের সামনে তির-ধনুক নিয়ে বিক্ষোভও দেখিয়েছেন তাঁরা। তারপরেই নড়েচড়ে বসে বীরভূম জেলা প্রশাসন।

তদন্তে নেমে নোটিস দিয়ে কোপাই নদীর অদূরে ওই প্রকল্পের কাজ বন্ধ করে দেয় ভূমি দপ্তর৷ তদন্তে উঠে আসে ১৯৯২ সালে পাট্টা দেওয়া জমি দখল করে গড়ে উঠেছে ওই আবাসনের একাংশ। জমিহারা চাঁদ হাঁসদা বলেন, ‘হুমকি দিয়ে, ভয় দেখিয়ে আমাদের কারও ১২ কাঠা, কারও এক বিঘে সরকারি পাট্টা জমি দখল করেছেন আবাসন কর্তৃপক্ষ। এতদিন ভয়ে মুখ খুলিনি। এ বার সরকার পাশে থাকায় আমরা প্রতিবাদ শুরু করেছি।’

১৯৯২ সালে তৎকালীন সাংসদ সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়ের সময়ে পাট্টা পেয়েছিলেন এই এলাকার ৪০ জন আদিবাসী ও কৃষক। সেই জমি ভয় দেখিয়ে দখল করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বীরভূমের জেলাশাসক বিধান রায় বলেন, ‘ওই জায়গা যে খাস জমি, তার রেকর্ড ছিল না। ইতিমধ্যে তা করা হয়েছে। আদিবাসী ও কৃষকদের কাছে পাট্টার কাগজ আছে। ওই নথি অনুসারে ভূমি দপ্তরে রেকর্ড করার কাজ শুরু হয়েছে। নাম নথিভুক্ত হলেই ওদের পজেশন দেওয়া হবে।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *